
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে নামাজ শুরু হয়, এর আগে ১টা ৩০ মিনিটে জুমার খুতবা দেওয়া হয়। নামাজের ইমামতি করেন আলমি মারকাজ নিজামুদ্দিনের আমীর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।
জুমার নামাজে মূল ইজতেমা মাঠে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা আশপাশের সড়ক, মহাসড়ক ও খোলা জায়গায় নামাজ আদায় করেন। ফজরের পর বয়ান করেন মাওলানা আব্দুস সাত্তার (নিজামুদ্দিন), যা তরজমা করেন মুফতি আজিম উদ্দিন। মিডিয়া সমন্বয়কারী মো. সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জুমার নামাজের পর বয়ান করেন ওয়াসিফুল ইসলাম (কাকরাইল)। আসরের পর হাফেজ মনজুর (নিজামুদ্দিন) এবং মাগরিবের পর মাওলানা জমশেদ (নিজামুদ্দিন) বয়ান করেন। বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।
এবারই প্রথমবারের মতো শবে বরাতের রজনীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশ-বিদেশ থেকে আগত লাখো মুসল্লি ইজতেমার ময়দানে একসঙ্গে শবে বরাত পালন করবেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারাদেশ থেকে মুসল্লিরা ময়দানে জড়ো হতে থাকেন। এই বিশেষ সময়ে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হওয়ায় মুসল্লিদের মধ্যে বাড়তি আবেগ দেখা গেছে।
জামালপুর থেকে আসা মুসল্লি সাইফুল ইসলাম বলেন, "ইজতেমা মাঠে লাখো মানুষ একসঙ্গে শবে বরাতের নামাজ আদায় করবেন এবং রোজা রাখবেন। বড় জামাতে জুমার নামাজ পড়তে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।"
রোববার আখেরি মোনাজাতের দিন ফজরের নামাজের পর বয়ান করবেন মুফতি রিয়াসাত (নিজামুদ্দিন)। হেদায়েতি বয়ান করবেন মাওলানা জামশেদ (নিজামুদ্দিন), আর মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।
৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুরায়ে নেজাম (জুবায়েরপন্থি) তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া নিজামুদ্দিন মারকাজ অনুসারীদের (মাওলানা সাদপন্থি) দ্বিতীয় পর্ব ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।