
ভেড়ামারা প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হলে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাবার সামনেই সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত মো. তামিম (১৮) উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের ক্ষেমিরদিয়াড় মুন্সিপাড়া গ্রামের মো. শাহিন ইসলামের ছেলে।
রোববার দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তামিমের মৃত্যু ঘটে। ভেড়ামারা থানার ওসি জহুরুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে ক্ষেমিরদিয়াড় মুন্সিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনার পর পরই তামিম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান না ফিরেই ৫ দিন পর হাসপাতালে রোববার মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে সে। এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় শাহিন ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে প্রতিবেশী আমজাদ হোসেনের(৪৫) সঙ্গে শাহিন ইসলামের তামাকের স্টিক বাধার দরদাম নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শাহিন ইসলামকে কিল-ঘুষি মারেন আমজাদ হোসেন। এ ঘটনাই আমজাদ হোসেনকে অভিযুক্ত করে ভেড়ামারা থানায় অভিযোগ জমা দেয় শাহিন ইসলাম।ক্ষিপ্ত হয়ে আমজাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্য মো. আদুরী খাতুন, মো. রকি, মো. শাহিন, শোভন, সোহান গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টায় পথিমধ্যে মোটরসাইকেল থামিয়ে শাহিন ইসলাম ও তার ছেলেকে পিটিয়ে জখম করে। এসময় মোটরসাইকেলের পেছনে বসা তামিমের মাথার পেছনে লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করলে সে বেহুশ হয়ে পড়ে যায়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর ৫ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা তামিমের জ্ঞান আর ফিরেনি। রোববার দুপুর ১টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা শাহিন ইসলাম বলেন, আমি ও ছেলে মোটরসাইকেল করে বাইরে বের হই। অভিযুক্তরা পথে আটকিয়ে আতর্কিতভাবে বেদম মারধর করে। রকি আমার গলায় হাসুয়া ধরে রাখে। এসময় শাহিন নামে ছেলেটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসা আমার ছেলের মাথায় লোহার পাইপ দিয়ে জোরে আঘাত করে। সেই যে ছেলের জ্ঞান হারালো আর ফিরে আসেনি। আজ (রোববার) চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। ছেলের খুনীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার পর পরই আসামিরা পালিয়ে যায়। তবে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা অব্যহত আছে।