
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
আগামী বুধবার (৯ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীতে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এই পূজা ও মন্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সালথা উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ। মন্দিরগুলোতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৪৫টি মন্দিরে এ বছর দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কিছু স্থানে পারিবারিকভাবে পূজার আয়োজন চলছে। পূজা মন্ডপগুলোর আশেপাশে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, প্রশাসন এবং উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে কিছু বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা পূজা কমিটি ও মন্দির কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। এর আগে, পূজা উদযাপন উপলক্ষে পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে পূজা উদযাপন কমিটির একাধিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সালথা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরূপ কুমার সাহা জানান, "পুলিশ ও প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দও আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমরা নির্দেশনা মেনে চলব এবং অন্যান্য মন্দির কমিটিকেও তা মানতে বলেছি। বিশেষ করে, আজান ও নামাজের সময় মন্দিরের আশেপাশের মসজিদগুলোর জন্য বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখার নির্দেশনা মানা হবে।"
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, "প্রতিটি পূজা মন্ডপে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও থানার একাধিক টহল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। সাদা পোশাকের গোয়েন্দা দল মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে। আমরা নিয়মিত মন্ডপ পরিদর্শন করছি এবং করে যাবো। আশা করছি, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাই নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে পারবেন।"
সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিসুর রহমান বালী বলেন, "উপজেলার ৪৫টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং দায়িত্ব বন্টনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখার নির্দেশনাসহ পূজা উদযাপনে সবার প্রতি সহনশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। পূজা মন্ডপগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।"