
গাজীপুর সংবাদদাতা:
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা এলাকায় চলছে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার মহোৎসব। বাসন থানাধীন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুরের ফেউছাগাড়া এবং ভাঙ্গাব্রিজ এলাকার ফসলি জমি থেকে প্রতিদিনই মাটি কাটা হচ্ছে। এসব মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন সিরামিক কোম্পানিতে। আইন অনুযায়ী কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা নিষিদ্ধ হলেও মাটি খেকোরা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, বাসন থানাধীন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত তাহাজ উদ্দিনের ছেলে রিপনের নেতৃত্বে প্রতি বছর এসব এলাকায় মাটি কাটা হয়। গত বছর (২০০৪ সালে) মাটি কাটার দায়ে বাসন থানা পুলিশ রিপনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলেও তিনি ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। অভিযোগ রয়েছে, মাটি কেটে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইসলামপুর ফেউছাগাড়া ও ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় তুরাগ নদীর তীর ঘেঁষা কয়েকশ বিঘা ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। এসব মাটি বহনে ব্যবহৃত ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলে স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন ও মহাসড়কগুলো ধুলাবালি আর কাদায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে মাটি ভর্তি ড্রাম ট্রাকের কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ভারী যানবাহনের ওজনের চাপ সহ্য করতে না পেরে রাস্তা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে খুব শিগগিরই রাস্তায় ফাটল ধরবে।
স্থানীয়রা অবৈধ মাটি কাটার বিষয়টি বন্ধে দ্রুত এবং কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে রিপনের সংবাদ সংগ্রহকালে রিপেনের উপস্থিতি দেখা যায়। তবে এ ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মাটি কাটার বিষয়টি এড়িয়ে যান।
গাজীপুরের বাসন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মাহ আলম জানান, তিনি একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের মাটি না কাটার জন্য অনুরোধ জানালেও তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।
তিনি আরও বলেন, “মাটি কাটার বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ থাকা সত্ত্বেও মাটি কাটার এই দৌরাত্ম্য থামানো যায়নি।