
সাম্প্রতিক বন্যার পর স্বাস্থ্য সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। দেশটিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ। চলতি বছরের জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে বন্যার কারণে অন্তত দেড় হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বিবিসি জানিয়েছে, দেশটির বিভিন্ন স্থানে এখনো লোকজনকে উদ্ধার ও সরিয়ে নেওয়ার কাজ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, পাকিস্তানে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। বাস্তুচ্যুত বহু সংখ্যক মানুষ জমে থেকে পানির কাছাকাছি বসবাস করছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে পাকিস্তানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বন্যার পানি কমতে অন্তত ছয় মাস সময় লাগতে পারে। কলেরা ও ডেঙ্গুসহ জলবাহিত রোগের হুমকির কারণে ভয় আরো বেড়েছে। সিএনএন জানিয়েছে, অনেক বাড়িঘর, রাস্তা, রেলপথ, গবাদি পশু ও ফসল বন্যায় ডুবে গেছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান এখন তিন কোটি ডলারের বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধির ঝুঁকি এখনও রয়েছে। বিশেষ করে সিন্ধু প্রদেশের সিন্ধু নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী অবিরাম বৃষ্টিপাত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ গত সোমবার বলেছেন, দীর্ঘস্থায়ী বর্ষাকাল বন্যার পানি পরিষ্কার করার চেষ্টাকে পিছিয়ে দেবে। আনুমানিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তিনি আরো বলেন, দেশটির বৃহত্তম মিঠা পানির হ্রদ মানচর সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই উপচে পড়ছে। প্রদেশটিতে বন্যার পানিতে কয়েকশ গ্রাম এবং এক লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।