
ফেনী প্রতিনিধি:
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ফেনীর কোরবানির পশুর হাটগুলো এখন বেশ জমজমাট। জেলার ছয়টি উপজেলায় মোট ১১৩টি স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। এসব হাটে দেশি গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার প্রাধান্যই বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, এবার ফেনীতে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৮২ হাজার ৩৩৬টি। চাহিদার বিপরীতে জেলায় প্রস্তুত রয়েছে ৮৭ হাজার ২২৭টি পশু, যা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৬৯ হাজার ৩৬০টি, মহিষ ১ হাজার ৬৬৭টি, ছাগল ১৩ হাজার ২৪৩টি এবং ভেড়া রয়েছে ৩ হাজার ১৪৭টি।
হাটগুলোতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে তুমুল দর-কষাকষি। বিক্রেতারা জানান, গোখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও লালন-পালনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ বছর পশুর দাম কিছুটা বেশি। গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে। মাঝারি আকারের একটি গরু গড়ে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, হাটগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম নিযুক্ত করা হয়েছে, যারা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে। এছাড়া ওজন পরিমাপের ব্যবস্থা এবং স্বচ্ছ ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সীমান্তে ভারতীয় গরুর চোরাচালান প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের নজরদারি বাড়িয়েছে। বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে ফেনীর বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা ১২৩টি গরু আটক করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে ফেনীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে সরবরাহ পর্যাপ্ত এবং বেচাকেনা জমে উঠেছে। দাম কিছুটা বেশি হলেও পশুর গুণগত মান ভালো হওয়ায় ক্রেতারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। প্রশাসনের সার্বিক তৎপরতায় হাটগুলোর নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।