
জোবায়ের হাসান:
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সংঘটিত গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা সময়ের সাথে সাথে আরও প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক টানাপড়েন, সীমান্ত সংকট এবং সাম্রাজ্যবাদী মোড়লদের ষড়যন্ত্রÑ সব মিলিয়ে আজকের বাংলাদেশ এক জটিল নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক সঙ্কট, সামাজিক অবক্ষয়, সামরিক নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রের অখণ্ডতাÑসবকিছুই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ফলে দেশের ভবিষ্যৎ নানামুখী অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংকটটি বুঝতে হলে প্রথমেই আমাদের কয়েকটি বিষয় অনুধাবন করতে হবে।
প্রথমত, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করছে, যা একে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক সমীকরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। পূর্বে মিয়ানমার, উত্তর-পশ্চিমে ভারত, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর- এই ত্রিমুখী অবস্থান বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষত বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথ, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং নৌ-বাণিজ্য রুটের দিক থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। মোটাদাগে তিনটি পরাশক্তিধর রাষ্ট্রের তীক্ষè দৃষ্টি রয়েছে বাংলাদেশের দিকে- ভারত, চীন ও আমেরিকা।
একদিকে চীন ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ করিডোর হিসেবে বিবেচনা করছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র চায় ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে চীন ও রাশিয়াকে প্রতিহত করতে। সেজন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরকে সুবিধাজনক অবস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের গুঞ্জনকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই খ্রিস্টান রাষ্ট্রের সম্ভাব্য কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে পার্বত্য চট্টগ্রাম, মিয়ানমারের কিছু অংশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। আবার ভারতও চাচ্ছে বাংলাদেশের ভূমি ও সমুদ্রপথ ব্যবহার করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে (সেভেন সিস্টার্স) কৌশলগতভাবে নিরাপদ রাখতে। পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর এই প্রতিযোগিতামূলক স্বার্থ রক্ষা এবং কৌশলগত অবস্থান দখলের চেষ্টাই বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সীমান্তঘেরা অঞ্চল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উত্তেজনা। বিগত সরকার শেখ হাসিনার আমলে প্রায় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল, যার ঢল বন্ধ হয়নি। আরাকান আর্মির নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমা মদদপুষ্ট জাতিসংঘ ‘মানবিক করিডোর’ এর নামে রাখাইনে ঢোকার রুট হিসেবে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে চাচ্ছে। অন্তবর্তীকালীন সরকার নীতিগতভাবে করিডোর দেওয়ার চিন্তা করছে, যা নিয়ে দেশে-বিদেশে তুমুল আলোচনা চলছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ নিরাপত্তা ঝুঁকি। কারণ, জাতিসংঘ যদি একবার রাখাইনে ঢোকার সুযোগ পায়, তবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের ঝুঁকি থেকেই যাবে। একইসঙ্গে এই করিডোর মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে জটিল করে তুলতে পারে।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ মুসলিমপ্রধান দেশ। এ দেশের মানুষের ধর্মের প্রতি প্রচুর ভক্তি-শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় ধর্মান্ধতা ও উগ্রতার চর্চা এখানে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। স্বাধীনতার পর থেকেই এখানে ধর্মকে ব্যবহার করে বারবার জাতিবিনাশী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ধর্মান্ধ জনতার ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করে কিছু উগ্র ধর্মীয় সংগঠন জাতির মধ্যে বিভেদের প্রাচীর তৈরি করেছে। এক বাঙালি জাতিকে হাজার হাজার ফেরকা-দলে বিভক্ত করে রেখেছে। এক দল আরেক দলকে মানে না, এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীর মসজিদে, মন্দিরে, মাজারে ভাঙচুর চালায়, কথায় কথায় কাফের, মোনাফেক, মুরতাদ, নাস্তিক ফতোয়া দেয়। কিছুদিন পর পর ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন করে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়। এছাড়া ওয়াজ মাহফিলে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে বিদ্বেষ প্রচার করা হয়। এর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতা বিস্তারের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। হিন্দু-মুসলিমের এই দ্বন্দ্বকে গাজওয়াতুল হিন্দের উপাদান হিসাবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সংকটকে আরও ঘনীভূত করার চেষ্টা চলছে। একইভাবে ভারতেও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের সমর্থন আদায়ের জন্য সংখ্যালঘু মুসলমানদের কোণঠাসা করা হচ্ছে। ফলে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্যদিকে আমরা দেখি মধ্যপ্রাচ্যের একটার পর একটা মুসলিম রাষ্ট্র পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। অতীতে আমেরিকা-রাশিয়ার স্নায়ুযুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার হতে দেখেছি। পরিণামে আফগানিস্তানের শহর-নগর-বন্দর ধ্বংস হয়ে গেছে। পশ্চিমা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলায় ইরাকের সাদ্দাম হোসেন, সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ, লিবিয়ার গাদ্দাফি পতনের মুখে পড়ে পুরো দেশ সামরিক আগ্রাসনের শিকার হয়েছে। এছাড়া ইরান, ইয়েমেন, লেবানন, মিশর, ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কবলে আছে। অর্থাৎ বৈশ্বিক পরিসংখ্যানে আমরা দেখি শুধুমাত্র মুসলিমপ্রধান দেশগুলোকেই পশ্চিমারা সামরিক আগ্রাসনের টার্গেটে পরিণত করছে। এক ফিলিস্তিনেই বিগত ৭৫ বছর ধরে যুদ্ধ চলছে। কোনো একটি সামরিক শক্তিধর মুসলিম রাষ্ট্র তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসছে না।
বাংলাদেশও একটি মুসলিমপ্রধান দেশ। এ দেশে ৯০ ভাগ মুসলমানের বাস। অন্য মুসলিমপ্রধান দেশের তুলনায় এখানে ধর্মের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস বা উত্তেজনা তুলনামূলক বেশি। এজন্য স্বাধীনতার পর থেকে এখানে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় অঙ্গনে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা বারংবার হয়েছে। এটা পশ্চিমাদের একটি ভীতির কারণ। গণতন্ত্রের বিপরীতে ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হলে পশ্চিমাদের আধিপত্য খর্ব হবে। এজন্য তারা একটার পর একটা মুসলিম রাষ্ট্রকে টার্গেট করে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সুতরাং বাংলাদেশও এই হুমকির বাইরে নয়।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা। দেশভাগের পর থেকে এ দেশে যে রাজনৈতিক সিস্টেম চর্চা করা হচ্ছে তা ব্রিটিশদের প্রণীত ব্যবস্থা। এই কামড়া-কামড়ি ও কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনৈতিক ব্যবস্থা বাংলাদেশের মানুষকে একদিনের জন্যও শান্তিতে বাস করতে দেয়নি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে একদল আরেক দলের বিরুদ্ধে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি, হরতাল-অবরোধ, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, অর্থপাচার, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে চরম মাত্রায় হুমকির মুখে ফেলেছে। এই সিস্টেমে বহু চড়াই-উৎরাই পার করার পর একদল যখন ক্ষমতায় আসে, সরকার গঠন করে পরের দিন থেকে শুরু হয় বিরোধী দলের বিরোধিতা। দাবি আদায়ের আন্দোলন, পদত্যাগের দাবি, সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, রাস্তাঘাট অবরোধ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ ইত্যাদি কর্মকাণ্ড জনমানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটানো হয়।
এরইমধ্যে সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের পর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। অভ্যুত্থানের পর দশ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও স্থিতিশীলতা ফেরেনি রাজনৈতিক অঙ্গনে। দাবি আদায়ের আন্দোলন, রাজনৈতিক পক্ষ-বিপক্ষ সংঘাত, সেনাবাহিনীর সঙ্গে অসহযোগী মনোভাব, চাঁদাবাজি, রাস্তাঘাটে ছিনতাই, ডাকাতি, মব-হামলা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতায় দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে আজ বড় প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। ক্ষমতার পালাবদলে রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থকগোষ্ঠীগুলোও থাকে চরম আতঙ্কে।
এখন করণীয় কী?
একটি দেশ যখন চরম মাত্রায় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে তখন সেই দেশের সকল নাগরিকের উচিত একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া। ১৯৭১ সালে যেভাবে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানিদের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, ঠিক সেভাবে এখন ১৮ কোটি বাঙালির ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে হবে। এই দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনী বা সরকারের নয়, বরং রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের। দেশ দখল বা ধ্বংস হলে শুধু সেনাবাহিনী ধ্বংস হবে না, সেই রাষ্ট্রের প্রতিটি নারী-শিশু-বৃদ্ধকেও নির্বিচারে হত্যা করা হবে। এর প্রমাণ ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, লেবানন এবং বর্তমানের ফিলিস্তিন। সেখানে আজ পাখির মতো গুলি করে, বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। কোনো একটি রাষ্ট্র সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে না। আমরা যাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভাবি, তারা সবাই যার যার স্বার্থ রক্ষার জন্য পাশে আছে। জাতির চরম দুঃসময়ে পাশে পাওয়া যাবে কি না, সন্দেহ আছে। তাই আসুন, বাংলাদেশের চরম অস্থিরতার এই সময়ে সমস্ত দলাদলি, মতানৈক্য, বিভেদ, ক্রোন্দন ভুলে জাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এগিয়ে আসি, সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো এক নেতার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দেশ ও জাতিকে রক্ষা করি।
এই ঐক্যের ডাক দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের সর্বোচ্চ নেতা এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। জাতির এই সংকটময় অবস্থা সম্পর্কে গত দশ বছর ধরে তিনি সাবধানবাণী উচ্চারণ করে আসছেন। সেই সঙ্গে এই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আমাদের কী করণীয় সেটাও তিনি বলে আসছেন। তিনি বলেছেন, আমরা জীবন দেব কিন্তু বাংলাদেশকে ইরাক-সিরিয়া হতে দেব না। তাঁর প্রতিটি বক্তব্যে ফুটে উঠেছে বাঙালি জাতির বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর আহ্বান। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ধর্মব্যবসা, অপরাজনীতি, সাম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ জাতিসত্তা গঠনের জন্য নিরলস আদর্শিক সংগ্রাম করে যাচ্ছে হেযবুত তওহীদ।
আলহামদুলিল্লাহ, আমরা বাঙালি জাতি এমন একজন নেতা পেয়েছি যিনি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, যদি এই জাতি এক নেতার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে পৃথিবীর কোনো পরাশক্তিই আমাদের পরাজিত করতে পারবে না- ইনশাআল্লাহ।
[যোগাযোগ: ০১৭১১০০৫০২৫, ০১৬২১৪৩৪২১৩, ০১৭৮৩৫৯৮২২২]