
জাবের হোসেন:
পটুয়াখালীর বাউফলে প্রতারণার অভিযোগ এনে বিচারের দাবিতে প্রেসক্লাব বাউফল মিলনায়তনে ৭২টি পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো. নান্নু মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। রবিবার সকালে ভুক্তভোগীদের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নান্নু মোল্লা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
নান্নু মোল্লা বলেন, বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মো. হাফিজুর রহমান ও আব্দুল খালেক মুন্সি সরকারি বন্দোবস্ত মূলে দুই একর জমি করে পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৯৯৫ সন থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত নাজিরপুরের প্রায় ৭২ জন মানুষের নিকট থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়। এভাবেই টাকা পয়সা নিয়ে সবাইকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।কাউকেই একতিল পরিমাণ জমি দেয়নি শুধু তালবাহানা করে আসছেন তারা।এদিকে ভুক্তভোগীরা জমির কথা বললেই বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। হাফিজ মোল্লার একান্ত সহযোগী হিসেবে কাজ করছে আব্দুল খালেক মুন্সি। তারই ধারাবাহিকতায় তারা গত শনিবার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কচুয়া ৭৫ নং মৌজার মূল মালিকের বরাদ্দকৃত জমি মালিকদের অগোচরে অন্য লোকদের মালিক সাজিয়ে বিক্রি করে সেই জমি বুঝিয়ে দিতে গেলে আমরা মূল মালিকরা জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হলে তারা আমাদের প্রকাশ্য দিবালোকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ওই জমি তারা জবরদখল করে ভোগদখল করছে যা বে-আইনি। আমরা হাফিজ মোল্লা ও আব্দুল খালেক মুন্সি গংদের কবল থেকে রক্ষা ও আমাদের জমি পুনঃরায় ফেরত পাওয়াসহ তাদের বিচার দাবি করছি।
তিনি বলেন, তারা ২০ মে একটা সংবাদ সম্মেলন করেছে, সেখানে দেওয়া তাদের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। সেই সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল খালেক মুন্সি জানান, আমি একজন ইমাম মানুষ। যেসব অভিযোগ আসছে তাতে আমরা কেউ জরিত নই। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।