Date: May 02, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / রাজশাহী / বেলকুচিতে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

বেলকুচিতে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

June 12, 2023 06:33:41 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
বেলকুচিতে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মমিন মন্ডল নামের এক যুবককে অস্ত্রের মুখে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে সুবর্ণসাড়া গ্রামের মৃত তারা সরকারের ছেলে মোতালেব হোসেন সরকারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের  হয়েছে। রবিবার বিকালে মমিন মন্ডলের ভাই নাবিন মন্ডল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ই মে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, সংঘর্ষের সময় নাবিন মন্ডলের ভাই আব্দুল মমিন পার্শ্বে থাকায় মোতালেব সরকারসহ বেশ কয়েকজন  বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯/০৫/২০২৩ ইং তারিখে রাতে ৯ টায় আসামিরা অস্ত্রের মুখে দৌলত মন্ডল এবং তার ছেলে আব্দুল মমিনকে মোতালেব সরকারের নির্জন দোতলা বাড়িতে নিয়ে বিভিন্ন ভয়-ভীতি এবং মারধর করে, প্রধান আসামি মোতালেব সরকার দৌলত মন্ডল এবং তার ছেলে আব্দুল মমিন মন্ডলকে কোমরে এবং বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, পরে তারা বাসায় যোগাযোগ করে মুক্তিপণের ১ লক্ষ টাকা দিয়ে মোতালেব সরকারের পা ধরে মাফ চায়। তখন তাদের মধ্যে থেকে কেউ পা ধরে মাফ চাওয়ার ভিডিও ধারন করে।  মুক্তিপণ পাওয়ার পর দৌলত মন্ডল এবং তার ছেলে আব্দুল মমিন কে ছেড়ে দেওয়ার সময় বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি এবং হুমকি দিয়ে বলেন এই ঘটনা কাউকে বললে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হবে । জিম্মি অবস্থা থেকে আসার পর ঘটনাটি বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাস ও  উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুলকে জানালে মোতালেব সরকারের ভাই  আবু তালেবের ফেসবুক আইডি সহ বেশ কিছু আইডি থেকে ওই ভিডিও ভাইরাল করে দেয়।

এ বিষয়ে মামলার বাদী নাবিন মন্ডল বলেন, মোতালেব সরকারসহ যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত সবাই এমপির সমর্থক হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার  করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে এই সন্ত্রাসীদের কঠিন বিচার চাই।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আসামিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য  অভিযান চলছে। খুব শীঘ্রই মামলা তদন্ত শেষে করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।