
জসিম উদ্দিন:
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সীমিত বেলার গণস্বাক্ষর অভিযান চট্টগ্রামের আকবর শাহ এ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম পাহাড়তলী থানার পাশে ইনভেস্টে ক্লাবে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সীমিত বেলার গণস্বাক্ষর অভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাবা মনিরা পারভীন সাধারণ সমন্বয়কারী বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা। কাজী আলতাফ হোসেন সাধারণ সম্পাদক আকবর শাহ থানা আওয়ামী লীগ, পারভীন এলাহী বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা, জনাব লোকমান আলী সহসভাপতি আকবর শাহ থানা আওয়ামী লীগ, সারওয়ার মোর্তজা কচি, এরশাদ মামুন,মিলি চৌধুরী, আয়েশা আক্তার, মো. ফয়েজ আহমেদ, মো. জিয়াউল হক সুমন,হোসনেয়ারা বেগন, পারভীন আক্তার, জামাল, শফিকুল রহমান মানিক প্রমুখ।
পাহাড় কাটা বন্ধে চট্টগ্রাম আকবর শাহ থানার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নেতৃত্ব গণস্বাক্ষর করা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা)চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান সমন্বয়কারী মনিরা পারভীন পাহাড় কাটা বন্ধে আদালতের দেওয়া নির্দেশনা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) প্রতিপালন করেনি।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে পাহাড় কাটাবিষয়ক এক আলোচনা সভায় মনিরা পারভীন এ কথা বলেন। নগরের পাহাড়তলী ইনভেস্টে ক্লাব চট্টগ্রাম এই সভার আয়োজন করে।
মনিরা পারভীন বলেন, ২০১১ সালে আদালত এক রায়ে চট্টগ্রাম নগরের সব পাহাড় কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন। পাহাড়ি বন উজাড় বন্ধ, প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু করপোরেশন ও সিডিএ সেই দায়িত্ব একেবারেই পালন করেনি। ফলে পাহাড় কাটা অব্যাহত রয়েছে। সিডিএ নিজেই পাহাড় কেটে সড়ক করেছে।
চট্টগ্রাম আকবর শাহ ৯ নং ওয়ার্ডে পাহাড় কাটা বন্ধ অব্যাহত রয়েছে।
বেলার প্রধান সমন্বয়কারী আরও বলেন, আদালতের ২০২৩–এর অপর এক আদেশে বিদ্যমান পাহাড়গুলোর তালিকা প্রস্তুত করে পাহাড়গুলোকে ধ্বংস ও কাটা থেকে রক্ষা করতে বলা হয়। সেই সঙ্গে ইতিমধ্যে কেটে ফেলা পাহাড়গুলোতে গাছ লাগানোর নির্দেশ দেন। সে কাজটিও হয়নি।
তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরদারির কথা থাকলেও তা সঠিকভাবে হয়নি। যে কারণে পাহাড় কাটা এখনো বন্ধ হয়নি। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সোচ্চার হতে হবে।
পাহাড় কাটা বন্ধ করতে নদী কমিশনের আদলে একটি কমিশন গঠন করার প্রস্তাব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খালেদ মিসবাহুজ্জামান।