ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্তে ৩৮২/৩ এস পিলার বরাবর এলাকায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই এলাকার পশ্চিম সোনামতী ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
আমজাখোর ইউপি চেয়ারম্যান আকালু মোহাম্মদ ডোঙ্গা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নুরুজ্জামান গরু চোরাকারবারীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সোমবার ভোরে তাকে ভারত সীমান্তের মধ্যে গুলি করে বিএসএফের সদস্যরা। তার মরদেহ ভারতের বিএসএফ ১৫২ সোনামতি ক্যাম্পে রয়েছে।
নিহত নুরুজ্জামান (৩৮) বালিয়াডাংগী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই মৃর্দাবস্তি গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দীনের ছেলে। তিনি ৪ সন্তানের জনক ছিলেন। তার মরদেহ এখন ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে আছে। তিনি চোরাকারবারীর সঙ্গে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রোববার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রত্নাই সীমান্তে একটি চোরাকারবারী গ্রুপ কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে গরু আনতে গেলে বিএসএফ’র গুলিতে নুরুজ্জামান নিহত হন। এ সময় চোরাকারবারি দলের নেতা আব্দুল মান্নানসহ বাংলাদেশের প্রায় ৮-১০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে ভারতের প্রায় পাঁচজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা আরও জানায়, ওই চোরাকারবারীর সদস্যরা গরু, মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও-৫০ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজির আহম্মদ বলেন, ‘নুরুজ্জামান ভারত থেকে গরু চোরাকারবারীর মাধ্যেমে গরু আনতে যায়। এসময় বিএসএফ গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে জানা যায় তিনি মারা গেছেন। ঘটনাটি শোনার পর আমরা তদন্ত করছি।’এ ঘটনায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হচ্ছে।