
আশিকুর রহমান:
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা এলাকায় চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। বাসন থানাধীন ১৪ নং ওয়ার্ডের ইসলামপুরের ফেউছাগাড়া, ভাঙ্গাব্রীজ ও বাসন চকের ফসলি জমি থেকে কাটা হচ্ছে মাটি। এসব মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইট ভাটাসহ বিভিন্ন সিরামিক কোম্পানিতে। ফসলি কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা নিষেধ থাকলেও, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাটি খেকোরা প্রতিদিনই মাটি কাটায় মগ্ন। জানাযায়, তুরাগ নদী ঘেষা এসব চক থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০-১৫০ ট্রাক মাটি কাটা হয়।
বাসন থানা সূত্রে জানাযায়, কিছুদিন আগে ওই এলাকা থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে বাসন থানা পুলিশ রিপন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। থানা পুলিশ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা পরেও স্থানীয় প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই পূনরায় মাটি কেটে চলেছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১৪ নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর ও বাসন চকে ভেকু মেশিন বসিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। অব্যাহত মাটি কাটার ফলে মাটি আনা নেয়ায় ব্যবহৃত ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলে সিটি কর্পোরেশন ও মহাসড়ক সড়কগুলোতে ধুলাবালি ও কাদামাটিতে ভরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অপর দিকে মাটি ভর্তি ড্রাম ট্রাক চলাচলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তাগুলোরও ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন- ভারী ওজনের যানচলাচলে রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এবং রাস্তা দুর্বল হয়ে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে রাস্তা অতিশিঘ্রই ফাটল ধরবে। মাটি কাটা রোধে মাটিদস্যুদের বিষয়ে আইনানুগ কঠিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
মাটি কাটা চক্রের সদস্য জয়নাল আবেদীন ও রিপন নামের ব্যক্তিরা জানান, স্থানীয় ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলের অনুমতিক্রমেই নাকি মাটি কাটা হচ্ছে। তবে, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিদেশে থাকার তার সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মাটি কাটা সংক্রান্তে কোন রিপোর্ট না করার জন্য, ওই এলাকার বাসিন্দা নাসির দেওয়ান নামের এক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে অনুরোধ জানান এবং তিনি বলেন- 'আমার লোকজন করে কেটে খায় নিউজ টিউজ করার প্রয়োজন নাই।'
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে রিপন নামের একজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মাটি কাটা রোধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।