
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় বাহাদুরপুর ইউনিয়নে মাধবপুর গ্রামে গত রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার সময় বাঁশের মোথা তোলাকে কেন্দ্র করে শাহাদুল্লাহর ছেলে সুমন আলী (১৫) নামের এক শিশুকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে আলামিন নামের এক যুবক।
স্থায়ী সূত্রে জানা যায়, আলামিন প্রায় সুমনদের বাঁশ বাগান থেকে প্রায় দিন বাঁশ ও বাঁশের মোথা কেটে বিক্রি করে। নিহত সুমনের বাবা তাকে নিষেধ করলে সে কোনমতেই না শুনে প্রায় দিনই এ কাজ করত। গত রবিবার সে জোরপূর্বক ভাবে বাঁশের মোথা ও বাঁশ কাটলে তাকে সুমন ও সুমনের পিতা নিষেধ করে। সে তাদেরকে মারমুখী আচরণ করে ও বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করলে সুমনের পিতা তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় আলামিন তাকে লাথি মারে এবং সুমন এগিয়ে আসলে আলামিনের হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে সুমন মাটিতে পড়ে যায়। পরে সুমনকে চিকিৎসার জন্য ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে সুমন আলীর মৃত্যু হয়। পরে লাশ ভেড়ামারা থানায় নিয়ে আসলে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহুরুল ইসলাম লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে ভেড়ামারা থানায় তিন জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার নুর ইসলাম ঘটনার সতত্যা স্বীকার করে জানান, নিহত সুমন এর লাশ ময়না তদন্ত শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে, রাতেই মাটি হওয়ার কথা আছে।
বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে বাঁশের মোথা তোলাকে কেন্দ্র করে শাহাদুল্লাহর ছেলে সুমন আলী নিহত হয়েছে। সুমন যারা মেরেছে তারা সম্পর্কে তাদের আত্মীয়।