Date: April 30, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / অর্থনীতি / মোবাইলে ১০০ টাকায় খরচ ১৪২ টাকা! - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

মোবাইলে ১০০ টাকায় খরচ ১৪২ টাকা!

January 12, 2025 12:53:12 PM   অনলাইন ডেস্ক
মোবাইলে ১০০ টাকায় খরচ ১৪২ টাকা!

দেশে মোবাইল সেবার খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। কথা বলা, মেসেজ আদান-প্রদান ও ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। মাত্র সাত মাসের ব্যবধানে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে গ্রাহকদের মোবাইল সেবার খরচ আরও বেড়ে গেছে।

গত বাজেটের আগে ১০০ টাকার সেবা নিতে খরচ হতো ১৩৩.২৫ টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪২.৪৫ টাকায়। ২০২৪ সালের জুনে ১৫ শতাংশ থেকে শুল্ক বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়, আর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা আরও বাড়িয়ে ২৩ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।

দেশের মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) এবং বিভিন্ন অপারেটরের কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তকে “অযৌক্তিক” উল্লেখ করে এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাধাগ্রস্ত করবে, সাধারণ গ্রাহকদের জন্য মোবাইল সেবা গ্রহণ কঠিন করে তুলবে এবং দীর্ঘমেয়াদে সরকারের রাজস্বও কমে যেতে পারে।

গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ বলেন, “এমন সময় কর বাড়ানো হলো যখন দেশের অর্থনীতি সংকট কাটানোর চেষ্টা করছে। এই সিদ্ধান্ত ডিজিটাল বৈষম্য বাড়াবে।”

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান মনে করেন, “এই পদক্ষেপ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে গ্রাহকদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। এটি ডিজিটাল অগ্রগতির পথে বাধা তৈরি করবে।”

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে। সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ইন্টারনেট সেবার ওপর বিশ্বের সর্বোচ্চ হারে কর আরোপ করা হয়েছে, যা দেশের ডিজিটাল উন্নয়নের পথে বড় বাধা। দেশের প্রায় ৪৮% মানুষ এখনো ইন্টারনেটের বাইরে। উচ্চ করহার তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করবে।”

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন মোবাইল সেবায় কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১২ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে। তারা সরকারের প্রতি এই কর পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, এনবিআর কর্তৃক জারি করা দুটি নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই কর বৃদ্ধি কার্যকর হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যপূরণে কতটা সহায়ক হবে, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে।