
হাতীবান্ধা সংবাদদাতা:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নে এক ব্যবসায়ীকে স্কুলে ডেকে নিয়ে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে গোতামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকরা অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে মিথ্যা দাবি করেছেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুস সোবাহানের ছেলে ফারুক হোসেন সোমবার হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমানের ফোন পেয়ে আব্দুস সোবাহান সকালে বিদ্যালয়ে যান। পরে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে তাকে কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে গালিগালাজ, মামলা দেওয়ার হুমকি এবং ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, চাঁদা না দেওয়ায় তাকে মারধর করেন প্রধান শিক্ষক সুফিয়া বেগম, সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান ও সহিদা নামের এক নারী। পরে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সুফিয়া বেগম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে থানায় যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, “প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে আমি সোবাহানকে ফোন দিয়েছিলাম, তবে তার কাছ থেকে কোনো অর্থ দাবি করা হয়নি।”
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুন নবী বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”