
হোসাইন আলী, ময়মনসিংহ:
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে ময়মনসিংহে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ জুন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে সদর উপজেলার ৭নং চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজার সংলগ্ন মাঠে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে নারী-পুরুষসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
জামাতে ইমামতি ও আরবি খুতবা প্রদান করেন হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা উমর ফারুক। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই জামাতে শতশত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে নারীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
নামাজ শেষে কোরবানির তাৎপর্য ও ইসলামের আলোকে সমাজ গঠন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ রানা, জেলা সভাপতি মো. বাচ্চু মিয়া এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সোহাগ।
বক্তারা বলেন, “ঈদুল আযহা কেবল পশু জবাই করার উৎসব নয়, এটি আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের এক মহান শিক্ষা। পশুর সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভেতরের পশুত্ব, অর্থাৎ অহংকার, হিংসা, বিদ্বেষ ও বিভেদের মতো কুপ্রবৃত্তিগুলোকে কোরবানি দিতে হবে। তবেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হবে।”
তাঁরা আরও বলেন, “হেযবুত তওহীদ দেশজুড়ে একই লক্ষ্য নিয়ে ঈদের জামাত আয়োজন করে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা। ঈদের প্রকৃত আনন্দ তখনই সার্থক হবে, যখন সমাজ থেকে সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার, জুলুম ও দারিদ্র্য দূরীভূত হবে এবং মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।”
জামাত ও আলোচনা শেষে দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।