
শরীয়তপুর সংবাদদাতা:
হে বিদায়ী পুলিশ সুপার বেঁচে থাকুন আপনার সৎকর্মের মধ্যে এটাই শরীয়তপুরের সকল সাংবাদিকদের চাওয়া। যেতে দিতে নাহি মনে চায়, তবু ও যেতে দিতে হয় এটা প্রকৃতির নিয়ম। মনীষীরা বলেগেছেন মানুষ স্থিতিশীল নয় মৃত্যুর আগ-মুহুর্ত পর্যন্ত চলমান, সেটা জীবনের সকল কর্মক্ষেত্রে এটাই বাস্তবতা।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান এর বিদায়ী বেলায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৭ আগস্ট ২০২২ বেলা বারটায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার পাবলিক লাইব্রেরি সভাকক্ষে পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামানকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শরীয়তপুরের সাংবাদিক ফোরাম, ইলেকট্রনিকস মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়ার প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিকদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন উপস্থিত সাংবাদিক বৃন্দ।
বিদায়ী সংবর্ধনায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন জেলা ইলেকট্রিম মিডিয়ার সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান। শহীদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন যারা প্রকৃত সাংবাদিক তারা সকলেই ভাল জ্ঞান রাখে, একটা কথা মনে রাখতে হবে পুলিশ প্রশাসন জনগনের কল্যাণে কাজ করে আর সাংবাদিকরা কাজ করে দেশ ও জাতির জন্য। আমরা জেনো কেউ অপ-সাংবাদিকতা না করি, আমাদের ভুল তথ্য প্রকাশের জন্য দেশ ও জাতির ক্ষতি হতে পারে এ ব্যপারে সকলেরই সতর্ক থাকতে হবে।
জেলা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সভাপতি রোকনুজ্জামান পারভেজ বলেন, এসএম আশরাফুজ্জামান ২০১৯ সালে শরীয়তপুরে পুলিশ সুপার হয়ে প্রথম যোগদান করেন। দেখতে দেখতে প্রায় তিন বছর কেটে গেল। সংবাদকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের কারো ভাইয়ের ব্যবহারে যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন এই বিদায় বেলা ক্ষমা করে দিবেন। এই জেলায় দীর্ঘদিন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি লাভ করে এ জেলা থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। আপনি যেখানেই থাকেন আপনার কর্মের মধ্যে দিয়েই আপনি ভালো থাকবেন।
শরীয়তপুর পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান তার বিদায়ী সংবর্ধনায় বক্তব্যে বলেন, আমার কর্ম জীবন শুরু করেছি সাংবাদিকতা পেশা দিয়ে। আমার জীবনের প্রথম উপার্জনের টাকা আসে সাংবাদিকতার মাধ্যম দিয়ে। বরাবরই আমি সাংবাদিকদের প্রতি একটু বেশি দুর্বল। শরীয়তপুরের জনগনকে ভাল কিছু দেবার চেষ্টা করেছি তবে কতটুকু দিতে পেরেছি তা আমি জানিনা।
তবে সাংবাদিক পুলিশ প্রশাসন একে অপরের সাথে জড়িত, পুলিশ মানুষের দোষটা তুলে ধরে আর সাংবাদিকরা মানুষের ভালটা ও তুলে ধরে খারাপটা ও তুলে ধরে। সর্বশেষ আমি বলতে চাই আমার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আপনাদের সাথে ভুল বোঝা বুঝি হতে পারে এবং কেউ কষ্ট পেতে পারেন এজন্য আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমার পরিবারের জন্য সকলেই দোয়া করবেন।