Date: May 02, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ময়মনসিংহ / সোনাইমুড়িতে জোড়াখুনের বিচার শুরুর দাবিতে ময়মনসিংহে মানববন্ধন - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

সোনাইমুড়িতে জোড়াখুনের বিচার শুরুর দাবিতে ময়মনসিংহে মানববন্ধন

March 17, 2023 12:55:13 AM   দেশজুড়ে ডেস্ক
সোনাইমুড়িতে জোড়াখুনের বিচার শুরুর দাবিতে ময়মনসিংহে মানববন্ধন

ময়নসিংহ সংবাদদাতা:
২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে জবাই করে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও বিচার শুরুর দাবিতে ময়মনসিংহে মানববন্ধন করেছে হেযবুত তওহীদ। মানববন্ধনে বক্তারা সেই পৈশাচিক ঘটনার সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সরকারের প্রতি সাত দফা দাবি পেশ করেন।

ময়মনসিংহ জেলা হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ ২০২৩) সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ জেলা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক রহমত উল্লাহ রানা এবং জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব,  সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাচ্চু মিয়া, মহানগর  সভাপতি সাদ্দামুর রহমান শান্ত, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সভাপতি মোঃ রায়হান হাসান, ময়মনসিংহ মটর যান শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর হোসেন মড়ল প্রমুখ।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক রহমত উল্লাহ রানা বলেন, ধর্মব্যবসায়ী উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করে বারবার হামলা চালিয়েছে। ২০১৬ সালের ১৪ই মার্চের এ দিনটিতেই হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে নির্মাণাধীন মসজিদকে গির্জা বলে গুজব রটিয়ে দিয়ে, মিথ্যা হ্যান্ডবিল বিলি করে ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি হামলা, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাট ও হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সেদিন তারা হেযবুত তওহীদের সদস্য ইব্রাহিম রুবেল ও সোলায়মান খোকনকে প্রচণ্ড প্রহারের পর তাদের হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। তাদের চোখ উপড়ে নেয়। তারপর গরু জবাই করা ছুরি দিয়ে জবাই করা হয়। পেট্রোল ঢেলে তাদের দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পৈশাচিক উল্লাসে স্থানীয় পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডটি ঘটায়।

তিনি বলেন, ঘটনার আগে থেকেই সেই স্থানীয় স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল ও ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছিল। আমরা মনে করি, কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে উদ্যোগ নিলে এই মর্মান্তিক নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটত না। এই ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। বহু আসামী আইনের আওতায় আসেনি, যারা এসেছে তারা রাজনৈতিক হয়রানীর ধুয়া তুলে সহজেই জামিনে বেরিয়ে এসে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কাজেই আবারও হামলার আশঙ্কা থেকে আমরা পুরোপুরি নিশ্চিন্ত থাকতে পারছি না।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে আমরা আবারও লক্ষ করছি, ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও স্থানীয় ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রী মহল আবারও হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যাচার চালাচ্ছে ও হামলার উসকানি দেওয়া আরম্ভ করেছে। বিশেষ করে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিরাজমান শান্তিময় পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠিত মসজিদ, মক্তব ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার হুমকি দিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে এখনই আইনী শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এরা যে কোনো ধরনের তাণ্ডব সৃষ্টি করতে পারে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার শুরু করতে হবে এবং সোনাইমুড়িতে অবস্থিত হেযবুত তওহীদের স্থাপনা ও সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।