
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীর আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান তার রাজনৈতিক পথচলায় শুরু থেকেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এসেছেন। নিজেকে আজমত উল্লাহ খানের ষড়যন্ত্রের শিকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে মহানগরের হারিকেন এলাকায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলেন জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “গাজীপুর মহানগরবাসীকে রক্ষার জন্য আমার মা মোসাঃ জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি মার্কা নিয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। আমার মা একজন সংগ্রামী নারী। আমার মা আমাকে, আমার জন্মের পর থেকেই আওয়ামী লীগের শিক্ষা দিয়েছেন। তার নির্দেশে আমি ছাত্র জীবনে থেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত। আমি কখনো আওয়ামী লীগের নিয়মনীতির বাইরে চলি নাই। আর চলবও না। আমি ছয় বছর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়ে দলমত নির্বিশেষে নগরবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি। আমার ছোট বেলা থেকে একটি গ্রুপ, আমি যেন আওয়ামী লীগ করতে না পারি সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা উপস্থাপন করেছে। সত্য বলার জন্য আমি সকল কেন্দ্রীয় নেতাদের বাসা, অফিসে গিয়েছি। তারা সবাই আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।”
তিনি আরো বলেন, তার মা জায়েদা খাতুন গাজীপুর মহানগরবাসীকে রক্ষা করার জন্য নির্বাচন করছেন। তার মাকে জয়যুক্ত করার জন্য তিনি তার মায়ের নির্বাচন করছেন। জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে বলেন- গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকার মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান রাজনৈতিক পথচলায় বাঁধা হয়ে বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছেন।
উল্লেখ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করায় গত বছর দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয় জাহাঙ্গীর আলমকে। পরে তাকে ক্ষমা করে সেই বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগ। ২০২৩ সালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। এই অবস্থায় নিজের মায়ের পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গতকাল দ্বিতীয় দফায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।