
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলার তিন ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করেছে সালথা থানা পুলিশ। ২৫ মার্চ (সোমবার) দিবাগত রাতে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে। আটক অভিযুক্ত আবুবক্কর ওরফে লাল মিয়া (১৯) জেলার বোয়ালমারি উপজেলার ময়না গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। তাকে আটক করে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, ঐ মাদ্রাসা ছাত্রী (১৪) স্থানীয় কওমী মাদ্রাসার ৩য় জামাতের ছাত্রী। লাল মিয়া ঐ এলাকায় পেঁয়াজ উত্তোলনের জন্য দিন মজুর হিসেবে কাজ করতো, এর সুবাদে ঐ ছাত্রীর সাথে পরিচয় গড়ে উঠে। এর প্রেক্ষিতে লাল মিয়া ঐ মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো, বিষয় টি জানতে পেরে ছাত্রীর পরিবার লাল মিয়া কে নিষেধ করে। সোমবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাতে লাল মিয়া কৌশলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে তার বাড়ির উত্তর পার্শে ফাঁকা পেঁয়াজ ক্ষেতে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। মেয়েকে ঘরে না পেয়ে খুঁজাখুঁজি করে, পরে ফাঁকা মাঠ থেকে তার ডাক চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে আর লাল মিয়া সটকে পরে।
এই ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সালথা থানায় পরদিন ২৬ মার্চ সকালে একটি এজাহার দায়ের করে। এরপরই নড়ে-চড়ে বসে সালথা থানা পুলিশ। সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান এর দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কবিরুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম এজাহার দায়েরের তিন ঘন্টার মধ্যে পাশবর্তী বোয়ালমারি উপজেলার ময়েনদিয়া এলাকা থেকে আবুবক্কর ওরফে লাল মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা এজাহার দায়েরের তিন ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত ধর্ষক আবুবক্কর ওরফে লাল মিয়া কে আটক করা হয়েছে। আটক লাল মিয়াকে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিম কে ননস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে, এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।