
দাউদুল ইসলাম নয়ন, ঢাকা উত্তর প্রতিনিধি:
সাভারের ভাকূর্তা ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ ঘটিকায় শ্যামলাসী কলাতিয়া পাড়া প্রাইমারী স্কুল মাঠে সাভার উপজেলার ভাকূর্তা ইউনিয়ন উদ্যোগে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভাকূর্তা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি সাদেক হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাকূর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। মূলত, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকেই বাংলাদেশে এক বিপরীত ধারার যাত্রা শুরু হয়। বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক শাসনের অনাচারি ইতিহাস রচিত হতে থাকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনীদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভাকূর্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া, সাভার থানা যুবলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ সাভার থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমদ, ভাকূর্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন, ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার জাকির হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী, ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইলিয়াস মিয়া ইউনিয়ান আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য মীর হোসেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।