
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে হাইকোর্ট খালাস দিয়েছেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং সৈয়দ এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ (১ ডিসেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন।
বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বাতিল করে এ রায় দেওয়া হলো। এর আগে ২০১৮ সালের রায়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সাজা দেওয়া হয়েছিল।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। বিচারকাজ চলাকালীন সময়ের মধ্যে দেশে বিচার বিভাগের পরিবর্তন হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও ক্ষমতাচ্যুতি, প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ এবং হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনর্গঠনের মাধ্যমে মামলাটি বিচারকাজের চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছায়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং কয়েক শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন। শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। হামলার পর মামলা করা হয় এবং এর তদন্তে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর নাম উঠে আসে।
২০০৮ সালে প্রথম দফায় ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে অধিকতর তদন্ত শেষে আসামির তালিকায় তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনের নাম যুক্ত হয়।
২০১৮ সালের রায়ে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পর আজ হাইকোর্ট সকল আসামিকে খালাস দিল।
এই রায় নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের পক্ষ থেকেই প্রতিক্রিয়া জানানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।