Date: April 30, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / জাতীয় / রাজধানীতে আমির সম্মেলন: রাষ্ট্র সংস্কারে হেযবুত তওহীদের প্রস্তাবনা পেশ-২ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রক...

রাজধানীতে আমির সম্মেলন: রাষ্ট্র সংস্কারে হেযবুত তওহীদের প্রস্তাবনা পেশ-২

November 24, 2024 11:20:07 AM   অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীতে আমির সম্মেলন: রাষ্ট্র সংস্কারে হেযবুত তওহীদের প্রস্তাবনা পেশ-২

পরিবহন ব্যবস্থা: এই অধিদপ্তরের আওতায় থাকবে আধুনিক যানবাহনের নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ, নতুন প্রযুক্তির সংযুক্তি ও সমন্বয় করা, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিদ্যমান সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার করা। তারা যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে, পরিবেশ বান্ধব নীতি অনুসরণ করবে, সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করবে, যানবাহন সংক্রান্ত দুর্ঘটনা বা আইন লঙ্ঘনের তদন্ত করবে এবং সড়ক ব্যবস্থাপনা ও যানবাহন মান নিশ্চিতকরণে তদারকি করবে।

  • কোনো আনফিট গাড়ি কোনোভাবে রাস্তায় চলার লাইসেন্স পাবে না। মাদকের সাথে সম্পৃক্ত এবং যথোপযুক্ত আধুনিক প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনো ব্যক্তি গাড়ি চালাতে পারবে না।
  • পরিবেশবান্ধব গাড়ি: নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারকারী গাড়ি তৈরি ও আমদানি করা হবে। কোনোভাবেই উন্নত দেশ থেকে রিজেক্টেড ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাড়ি আমদানির সুযোগ রাখা হবে না।
  • রাস্তা ব্যবহারের সমান সুযোগ: রাস্তার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবার জন্য সমান সুযোগ এবং সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
  • পরিবহন শ্রমিকদের অধিকার: কোনো পরিবহন শ্রমিক তার ন্যায্য দাবি ও পাওনা থেকে বঞ্চিত হবে না। কোনো পরিবহন শ্রমিককে তার সাধ্যের অতিরিক্ত ভার চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
  • ভাড়া নির্ধারণ: অতিরিক্ত মুনাফার জন্য পরিবহন মালিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারবে না। পরিবহন ব্যয় ও গন্তব্যের দূরত্বের পাশাপাশি জনগণের আয় ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনায় প্রতিটি পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ করা হবে।
  • টোল-ট্যাক্স ও রাস্তা ব্যবহার: রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে অধিকমাত্রায় টোল-ট্যাক্স ইত্যাদি বসিয়ে মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করা যাবে না। সরকারি বাজেটের মাধ্যমে সড়ক উন্নয়ন, নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যকর করে টোলমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
  • রাস্তা সংস্কার এবং উন্নয়ন: উন্নয়নের নামে রাস্তা নির্মাণ কিংবা সংস্কার কার্যক্রম বছরের পর বছর ধরে ঝুলিয়ে রেখে মানুষকে কষ্ট দেওয়া যাবে না।
  • গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ: কেউ ইচ্ছেমতো গতিতে গাড়ি চালাতে পারবে না। গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় গতি সীমা ও দ্রুতগতির সিগন্যাল সিস্টেম তৈরি করতে হবে।
  • সড়ক পুলিশ প্রটোকল: সুনির্দিষ্ট কারণ ও তথ্যপ্রমাণ ছাড়া সড়ক পুলিশ যাকে ইচ্ছা সড়কে থামিয়ে নাগরিক অধিকার বিঘ্নিত করতে পারবে না। এজন্য কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় প্রটোকল ও প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহার করবে।
  • ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ন্ত্রণ: যানজট, গাড়ির সংখ্যা, পরিবহন খরচ এবং পরিবেশ দূষণ কমানোর জন্য ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার হ্রাস করা হবে।

কৃষিব্যবস্থা: কৃষি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের প্রস্তাব হচ্ছে:

  • উৎপাদনের যোগ্য এক ইঞ্চি মাটিও উৎপাদনের বাইরে থাকবে না। হয় জমির মালিক চাষাবাদ করবে, অথবা সেটা রাষ্ট্র অধিগ্রহণ করবে। জমিদারি প্রথার মত একক মালিকানায় কেউ হাজার হাজার একর জমি করায়ত্ত করে রাখতে পারবে না।
  • নগরায়ণের নামে হাজার হাজার একর কৃষিজমি ধ্বংস করা যাবে না। কৃষিজমি কৃষিকাজেই ব্যবহার করতে হবে।
  • যারা কৃষি উৎপাদন করবে তারা ফসলের একটি নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করবে। কৃষক যা কিছু চাষ করে তা ফল বা ফসল যাই হোক, সেটা কাটার দিন (ইয়াওমুল হাসাদ) এর হক আদায় করতে হবে। সেই হক হচ্ছে- এর এক একটি নির্দিষ্ট অংশ হিসাব করে গরিব মানুষকে বিলিয়ে দিতে হবে। সমাজে সাম্য ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য এই পদ্ধতি ইসলামে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যার নাম ওশর।
    কেউ অন্যের জমি দখল করতে পারবে না। করলে সেই জমি ফেরত দিতে হবে এবং জরিমানা দিতে হবে।
  • কৃষকদেরকে আধুনিক কৃষি বিজ্ঞানের জ্ঞান প্রদান করতে হবে এবং কৃষিবিদদের দাপ্তরিক কাজের পরিবর্তে মাঠভিত্তিক কাজে নিযুক্ত করতে হবে। কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি সাধনের জন্য এবং কৃষিকাজে উৎসাহিত করার জন্য ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে। এজন্য কৃষকদেরকে সরাসরি বাজারে প্রবেশের ব্যবস্থা করে দিতে হবে এবং কৃষক ও ভোক্তার মাঝখানে দালালচক্রের দৌরাত্ম বন্ধ করতে হবে।
  • অতিরিক্ত কৃষিপণ্য মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না।
  • কৃষকদেরকে সহজ শর্তে এবং অবশ্যই বিনাসুদে ঋণ দিতে হবে। তাদেরকে সরকার বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করবে এবং এক্ষেত্রে রাষ্ট্র ভর্তুকি দিবে।

পররাষ্ট্রনীতি: আমার জাতির স্বার্থ রক্ষার জন্য অন্য জাতি ও রাষ্ট্রসমূহে অন্যায়ভাবে হামলা করা, বঞ্চিত করা, শোষণ করা ইসলামের নীতি নয়। অন্য জাতিগুলো যদি শান্তি কামনা করে তাহলে আমাদেরকেও শান্তির দিকে ঝুঁকতে হবে। (আয়াত)। বাণিজ্যনীতি, আমদানি-রপ্তানি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে হবে। অন্য জাতির চাপের মুখে নিজের দেশকে উন্মুক্ত বাজারে পরিণত করতে দেওয়া যাবে না। বাহিরের জাতিরাষ্ট্রসমূহের মধ্যে আমাদের অবস্থার উন্নয়ন, মানবাধিকার, বার্তা ইত্যাদি অবস্থা তুলে ধরার জন্য চৌকস, বুদ্ধিমান, ভাষাজ্ঞানসম্পন্ন কূটনীতিকগণ নিয়োজিত থাকবেন।