
স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে অনাগত সন্তানের নিরাপত্তা এবং স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ডা. ফারিহা ইয়াসমীন। বুধবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টায় ফরিদপুর মডেল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. ফারিহা ইয়াসমীন জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে তিনি ডা. ফারহান তানভীরের সঙ্গে শরীয়াহ মোতাবেক পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারা পূর্বপরিচিত ছিল এবং ভবিষ্যতে একসঙ্গে জীবন গড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
ডা. ফারিহা বলেন, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ সালে ডা. ফারহান তানভীরের অনুরোধে কক্সবাজারে বেড়াতে যান তারা। সেখানে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কক্সবাজার থেকে ফিরে আসার পর তিনি ফারহান তানভীরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না এবং তার সাথে কোনো সম্পর্ক স্থাপন হয়নি। এ সময় তিনি জানতে পারেন যে, তিনি গর্ভবতী। বিষয়টি জানালে ফারহান তানভীর তাকে আশ্বস্ত করেন এবং পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবেন বলে জানান। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে তাদের পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, বিয়ের পরেও তাকে তার স্বামীর বাড়িতে নেওয়া হয়নি। ফারহান তানভীর ঈদের পর তাকে বাড়িতে আনবেন বলে জানালেও, তা না করে নানা অজুহাত দেখিয়ে তাকে এড়িয়ে যান। এছাড়া, তিনি অভিযোগ করেন যে, ফারহান তানভীর তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং চল্লিশ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
ফারিহা ইয়াসমীন বলেন, “নিকাহনামায় প্রতারণা করে, ১০ লাখ টাকার দেনমোহর উল্লেখের পরিবর্তে মাত্র ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে এবং ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অশোধিত রাখা হয়েছে।”
তিনি বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে তিনি স্বামীর বাসায় যান, কিন্তু সেখানে ফারহান তানভীর এবং তার মা তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। বাধ্য হয়ে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করেন এবং প্রশাসন তাদের থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ বিষয়টি শুনে উভয়কে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এ পরিস্থিতিতে ডা. ফারিহা ইয়াসমীন ফরিদপুর মডেল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তার অভিযোগ জানান এবং অনাগত সন্তানের নিরাপত্তা ও স্বামীর অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের সাহায্য কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।