
অনলাইনে জুয়ার কারবার বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে একটি সামাজিক সংগঠন। ‘ছাত্র ও যুব সমাজকে রক্ষা করো, মোবাইল-অনলাইন ক্যাসিনো জুয়া বন্ধ করো’ স্লোগানকে সামনে রেখে ‘সচেতন জনতা’র ব্যানারে রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম নিপু সরকারসহ সংগঠনের সদস্যরা। কর্মসূচি থেকে ছাত্র ও যুব সমাজকে রক্ষার্থে মোবাইল-অনলাইন ক্যাসিনো বন্ধসহ ৭ দফা দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, দেশে ক্রমাগত বেড়েই চলছে অনলাইন জুয়া ব্যবসা। বিদেশি অনলাইন অ্যাপস ব্যবসায়ীরা নিত্য নতুন অনলাইন জুয়া অ্যাপস তৈরি করে ছেড়ে দিচ্ছে নেট দুনিয়ায়। লক্ষ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে আত্মসাৎ করে দেশের টাকা বিদেশীরা নিয়ে যাচ্ছে। এই বিদেশি চক্র এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা আসক্ত হচ্ছে বেশি। লক্ষ টাকার লোভে পড়ে নিয়মিত অর্থ হারাচ্ছে স্বল্পআয়ের শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বক্তারা আরও বলেন, অনলাইন জুয়া ব্যাবসা বন্ধ না হলে দেশে চুরি ডাকাতি খুন ছিনতাই বেড়ে যাবে। বিপিএল, আইপিএল, সিপিএল, লা লিগা, ইউরো কাপসহ যেকোনো ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্টের ম্যাচ ঘিরে দেশের ভেতর থেকে অনলাইন জুয়া (বেটিং) চলছে। বেটিং সাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট করলেই জুয়া খেলার পাশাপাশি কারাবারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, এ জন্য নিজস্ব যোগাযোগের অ্যাপও আছে, সেই অ্যাপে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশিরা হয়ে যাচ্ছে এজেন্ট।
বক্তারা বলেন, জুয়া কারবার বাড়াতে পারলে তাদের ভার্চুয়াল মুদ্রায় (ক্রিপ্টোকারেন্সি) কমিশন দেওয়া হচ্ছে। আর সেই ভার্চুয়াল মুদ্রা প্রচলিত মুদ্রায় রূপান্তর করে হুন্ডি বা অবৈধ পথে পাচার করা হচ্ছে, এভাবে রাশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলোতে। চক্রটি অ্যাপের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে যোগাযোগ করে সদস্য সংগ্রহ করে। ভুয়া নামে ফেসবুক আইডিও করে, তারা জুয়ার কারবার করে জুয়ার সাইটগুলোর প্রক্সি বা নকল ডোমেইন সার্ভার ব্রিটেন, ভারত ও মালেশিয়া থেকে পরিচালিত।
বক্তারা সরকারের নিকট ছাত্র ও যুব সমাজকে রক্ষার্থে মোবাইল-অনলাইন ক্যাসিনো বন্ধের দাবি জানান।