
রংপুর অফিস:
দক্ষিণাঞ্চলের সিলেট থেকে রসালো আনারস এনে বিক্রি করে চলছে বেলালের সংসার। ভ্রাম্যমাণ ফেরি করে এই আনারস বিক্রির উপার্জনে ভবিষ্যতের স্বপ্নও বুনছে তার কলেজ-হাইস্কুল পড়ুয়া দুই ছেলে-মেয়েও। সিলেট বাদেও বছরে ছয় মাস জুড়ে মধুপুর, টাঙ্গাইল, হবিগঞ্জ থেকেও এনে বিক্রি করে রংপুরের তারাগঞ্জ এলাকার বেলাল হোসেন।
শনিবার সকালে জেলার তারাগঞ্জ উপজেলা শহরের ধানহাটি এলাকায় ভ্যানে করে আনারস বিক্রি করতে থাকা বেলালের সাথে কথা হলে বেলাল বলেন, প্রায় একযুগ ধরে এই আনারস বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। বছরের অর্ধেক সময় ধরে রংপুর জেলার বিভিন্নস্থানে ফেরি করে আনারস বিক্রি করে আসছি। এই পেশা থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ৫ সদস্যের সংসার চালাচ্ছি। সাথে ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ। সবমিলে বেকার না থেকে এই পেশায় অনেক ভালো থাকার কথা জানান বেলাল।
আনারসের দাম আর বেচা-কেনা সম্পর্কে ৪৫ বছর বয়সী বেলাল বলেন, প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ কেজি করে আনারস ভ্যানে নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি। ২ থেকে ৩ টি মিলে কেজি ওজনের এই আনারস ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন তিনি। এতে খরচ বাদে তার দিনে উপার্জন হয় ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা।
এসময় আনারস কিনতে আসা আব্দুল ওয়াহাব মিন্টু বলেন, বেলাল মাঝে মধ্যেই এই এলাকায় আনারস নিয়ে আসেন। আনারস বিক্রির সে একটা পরিচিত মুখ হিসেবে পরিচিতি এই উপজেলা শহরে। ৫০ টাকা কেজি দরে ৪ কেজি আনারস কিনলাম। অনেক রসালো আর মিষ্টি। মাঝে মধ্যে বেলাল ভাইকে দেখলেই আমি তার কাছে থেকে আনারস কিনে নিয়ে যাই।
প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি সাংবাদিক লাল মিয়া বলেন, বেলাল ভ্যানে করে আনারস বিক্রি করে স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার চালাচ্ছেন। বেকার না থেকে এভাবে সিজনাল ফল-ফলান্তি অথবা সবজি জাতীয় জিনিসপত্র নিয়ে ভ্যানে করে বিক্রি করলে অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবং চিন্তা মুক্তভাবে চলে সংসার। তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই আনারস বিক্রেতা বেলাল।