
স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা:
আশুলিয়া ইয়ারপুর ইউনিয়নের বেরন মানিকগঞ্জ পাড়া এলাকায় ডিস ব্যবসায় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম ময়না মোল্লাকে গুরুতর অবস্থায় সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট রাতে স্ত্রীসহ ময়না মোল্লা মার্কেট থেকে ফেরার পথে তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ময়না মোল্লার পিতা জালাল মোল্লা ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলাদিায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলো- মানিকগঞ্জ পাড়ার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শাওন (২৫), আব্দুর রশিদ কোম্পানির ছেলে কামরুল ইসলাম (৩০), রতন (২৫), মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে রাকিব, মহিউদ্দিনের ছেলে সাঈদ (৩০) সহ অন্তত ৭-৮ জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীর আলম ময়না মোল্লা ও স্থানীয় গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শাওন (২৫) এর সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্ত্রী নিপা বেগম ও ময়না মোল্লা মার্কেট থেকে ফেরার পথে দেশীয় অস্ত্র, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় আসামি শাওন, কামরুল ইসলাম, রতন, রাকিব, সাঈদ সহ অন্তত ৭-৮ জন। এতে তিনজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ময়না মোল্লার অবস্থা গুরুতর। তিনি বর্তমানে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার বাদী জালাল মোল্লা বলেন, হত্য করার উদ্দেশ্যে আমার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ময়না মোল্লাকে মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। আমির হোসেনের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বাধা দিতে আসলে তার উপরেও আক্রমণ করা হয় এবং পাশের বাসায় গেইটে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। একই ঘটনায় আমির হোসেনের দোকান ভাঙচুরের করেছে দুর্বৃত্তরা। আমির হোসেন জাহাঙ্গীর হোসেন ময়না মোল্লার কাছে আত্মীয় হওয়ায় আমির হোসেনের দোকানে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনার পরে এলাকায় সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার এসআই হাচিব শিকদার জানান, আসামীদের মধ্যে ৪ জন আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন নিয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম চলছে।