জাহিদুল ইসলাম:
বিদ্যুৎ বিতরণ ও ট্রান্সমিশন, এনার্জি ট্রেডিং এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে রুপান্তর করতে কাজ করবে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) । শনিবার ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই) এর মহাখালীর নিটোল সেন্টারে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। এতে আইসিসি ও আইবিসিসিআই এর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ৬ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) কর্তৃক আয়োজিত ‘আইসিসি বিমসটেক এনার্জি কনক্লেভ’ সম্পর্কে অবহিত করতে এই প্রেস মিটিংয়ের আয়োজন করে সংস্থাটি।
আইবিসিসিআই-এর সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিসির মহাপরিচালক ড. রাজীব সিং। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আইসিসি প্রতিনিধি দল, আইবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মিট দ্য প্রেসে ড. রাজীব সিং জানান, ‘আইসিসি বিমসটেক এনার্জি কনক্লেভ’ এর ব্যবসায়িক কনক্লেভের উদ্দেশ্য হল বিমসটেক দেশগুলির মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ ও ট্রান্সমিশন, বাংলাদেশে এনার্জি ট্রেডিং এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি খাতে উন্নিত করা। এছাড়াও পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রগুলি অন্বেষণ করার জন্য কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত থেকে কোম্পানিগুলিকে নিয়ে আসার লক্ষ্য রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও জানান, তিনি তার সাথে শিল্প পণ্য উৎপাদন, বিশিষ্ট এমএসএমই বড় আকারের নির্মাণ সংস্থা, বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা, নতুন এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সংস্থাগুলি, পিএসইউ, সৌর শক্তি, তেল ও গ্যাস তৈরিতে দক্ষ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং শিল্পপতিদের সমন্বয়ে একটি বড় প্রতিনিধি দল নিয়ে এসেছেন।
তিনি জানান, সম্মেলনের পাশাপাশি বিটুবি মিটিং হবে। এই কনক্লেভ উভয় দেশের জন্য আরও অর্থবহ এবং উপকারী ফলাফল বয়ে নিয়ে আসবে। জ্বালানি খাতের পাশাপাশি কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলেও তিনি জানান। আইসিসি যৌথ উদ্যোগে ঢাকা, কিশোরগঞ্জ এবং পাবনায় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য আইবিসিসিআই কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আইবিসিসিআই-এর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশের বাঁশের চিপস এবং পার শিলা এবং খনিজ পাথরের দ্রব্য খুব প্রয়োজন। যা উত্তর পূর্ব ভারত থেকে আমদানি করা যেতে পারে। ফেনী নদীর উপর মৈত্রী সেতু নির্মাণের ফলে আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব কমে এখন হয়েছে মাত্র ১১১ কিলোমিটার। এবং এর ফলে, ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে পণ্য পরিবহন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে আসন্ন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর (ডিএসপি) যা জাপানের সহায়তায় নির্মিত হতে যাচ্ছে তা একটি গেম চেঞ্জার হতে যাচ্ছে। এই গভীর সমুদ্র বন্দর (ডিএসপি) প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সামুদ্রিক যোগাযোগ এবং বাণিজ্য বাড়াতে এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভ্যালুকে শক্তিশালী করতে প্রত্যাশিত।
আইবিসিসিআই-এর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ আইবিসিসিআই-এর সাথে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাসের জন্য আইসিসিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি তাদের এ মহতী প্রচেষ্টায় আইসিসি-এর সর্বোত্তম সফলতা কামনা করেন এবং কনক্লেভের উদ্দেশ্যগুলিকে অর্জন করতে আইবিসিসিআই থেকে পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই কনক্লেভের মাধ্যমে বাংলাদেশের পেপার মিলের কাঁচামাল পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, চিকিৎসা প্রযুক্তি এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ অর্জন করতে পারে। এবং বলেন যে, এ ধরনের আয়োজন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় এবং সংহত করবে।
সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় পক্ষের অন্যান্য প্রতিনিধি এবং আইবিসিসিআই-এর পরিচালকরা বক্তব্য রাখেন।