Date: April 29, 2024

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / প্রযুক্তি / এবার চাঁদে ‘রেল রোড তৈরির’ ধারণায় সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

এবার চাঁদে ‘রেল রোড তৈরির’ ধারণায় সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের

March 24, 2024 11:23:39 AM   প্রযুক্তি ডেস্ক
এবার চাঁদে ‘রেল রোড তৈরির’ ধারণায় সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের

চাঁদের বিভিন্ন ঘাঁটির মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি রেল নেটওয়ার্ক তৈরির ধারণায় অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এক সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

পরবর্তী দশকে ধারণাটিকে বাস্তবে রূপান্তরের জন্য পরিকল্পনাটির যৌথ উদ্যোক্তা হিসেবে আর্থিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি (ডারপা)’। গত বছর এ প্রস্তাব এসেছিল মার্কিন অ্যারোস্পেস কোম্পানি নর্থরোপ গ্রাম্যানের কাছ থেকে।

চাঁদ নিয়ে ডারপা’র ১০ বছর দীর্ঘ একটি অবকাঠামোমূলক পরিকল্পনার অংশ এটি। এর লক্ষ্য হল, ভবিষ্যতে চাঁদের অর্থনীতিকে সমর্থন করা, যেখানে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা চাঁদে নিজেদের স্থায়ী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।

এ দশক শেষ হওয়ার আগেই চাঁদে নিজস্ব ঘাঁটি গড়ে তুলতে এরইমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন, যেখানে আর্টেমিস মিশনের মাধ্যমে চাঁদে পুনরায় মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছে নাসা।

“কল্পিত এ রেলপথ নেটওয়ার্কটি চন্দ্রপৃষ্ঠজুড়ে বাণিজ্যিক উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য মানুষ, পণ্য ও বিভিন্ন সম্পদ পরিবহন করতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও এর আন্তর্জাতিক অংশীদারদের পরিকল্পিত মহাকাশ অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে,” এক বিবৃতিতে বলেছে নর্থরোপ গ্রাম্যান।

‘লুনার আর্কিটেকচার ক্যাপাবিলিটি স্টাডি (লুনা-১০)’ প্রকল্পে বাছাই হওয়ার পর কোম্পানিটি এখন চাঁদের পৃষ্ঠে পুরোপুরি কাজ করবে এমন এক রেল ব্যবস্থার প্রোটোটাইপ তৈরির কাজ করছে।

এ ছাড়া, চাঁদে একটি ট্রেন নেটওয়ার্ক নির্মাণ, পরিচালনা ও মেরামতের বিভিন্ন উপায়ও পরখ করে দেখবে কোম্পানিটি, যেখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সক্ষমতাওয়ালা রোবট তৈরির সম্ভাবনাও রয়েছে।

ডারপা’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড. মাইকেল নায়াক বলেছেন, পরবর্তী দশকের মধ্যেই চাঁদের অর্থনীতিতে ‘বড় এক পরিবর্তন’ লক্ষ্য করা যাবে।

“এমন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক গবেষণায় এই বিনিয়োগ আমাদের প্রযুক্তিকে পরবর্তী প্রজন্মের সমাধান তৈরির ক্ষেত্রে সম্মুখসারীতে রাখবে,” বলেন নর্থরোপ গ্রাম্যানের মহাব্যবস্থাপক ক্রিস অ্যাডামস।

“আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, বিভিন্ন জটিল সিস্টেম ও বাণিজ্যিক স্বয়ংক্রিয় পরিষেবার একীকরণ ঘটানো সম্ভব। আর একটি টেকসই মহাকাশ বাস্তুতন্ত্রের জন্য স্থায়ী পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে আমরা নিজেদের কাজ অব্যাহত রাখব।”