আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বেহাল অবস্থায় ছিল বরগুনার আমতলী উপজেলার অর্ন্তগত আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের আঠারোগাছিয়া গ্রামের বাজার সংলগ্ন তিন কিলোমিটার কাঁচা সড়কটি। সংস্কার না করায় দীর্ঘদিন খানাখন্দে ভরা ছিল রাস্তাটি। আর বর্ষা এলেই কাদা-পানিতে ভরে যেত এটি। ফলে বর্ষাসহ সারাবছরই নানা ভোগান্তি পোহাতে হতো পথচারীদের। সড়কটি সোনাখালী কলেজের মধ্যবর্তী একটি ব্রিজের সাথে সংযোগ সড়ক হিসেবে যুক্ত থাকায় শিক্ষার্থীসহ হাজারো পথচারীর দুর্ভোগে পড়তে হতো। তবে বর্তমান আঠারগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন নির্বাচিত হয়ে রাস্তাটির সংস্কার করেছেন। ফলে ভোগান্তি অনেকটা কমে গেছে স্থানীয় বাসিন্দাসহ পথচারীদের।
স্থানীয় বাসিন্দা গাজী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্ষা ঋতু এলেই যেন দুঃস্বপ্নে ছেয়ে আসতো আমাদের জড়জীবনে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি ব্যবহারে পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে পরে। রাস্তা দিয়ে গড়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থী সহ চলাফেরা করে শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ নানান শ্রম পেশার হাজারো মানুষ। রাস্তাটির পাশ ঘেষে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ একাধিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মাদ্রাসা।
রাস্তাটি নিয়মিত যাতায়াতকারী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার বলেন, রাস্তাটি ঘেষে একাধিক ধর্মের প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও গ্রামটিতে রয়েছে কয়েক শত নানা পেশার কর্মজীবী মানুষ। প্রতিদিন সকাল হতেই নিজের কর্মব্যস্ততায় ছুটে যান দূর-দূরান্তে, কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদামাটির রাস্তাটি দিয়ে এসে কাপড় পরিবর্তন করতে হয় তাদের। ইতিপূর্বে আমরা বহু জনপ্রতিনিধি দের অনেক রকম ধারণা দিয়েছি তারা নানান সময় আশ্বস্ত করলেও বিগত রজত জয়ন্তীতেও কোন কাজই হয়নি এখানে। রফিকুল ইসলাম রিপন চেয়ারম্যান হওয়ার পর এই রাস্তাটিসহ অনেক স্থাপনার পরিবর্তন এসেছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে তিন বছরেরও কম সময় স্থানীয় মামলা গ্রাম আদালতে সর্বোচ্চ সুরাহার রেকর্ডটিও তার দখলে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে মো. রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, আমি সব সময়ই একটি কথা বলে এসেছি জনগণ আমাকে নির্বাচিত করেছে। আমি জনগণের আশা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাব এটাই আমার লক্ষ্য উদ্দেশ্য। নির্বাচন হওয়ার পরবর্তী সময়ই এই মাটির সড়কটির কথা আমাকে অবহিত করেন। স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্যই আমি এ কাজ করেছি। আমরা আশা করি ২০২৪ সালের ভিতরে সড়কটি ইট সলিং কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।