
দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) বা ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টর (দশম গ্রেড) পদে সাড়ে ৩ হাজার জনের নিয়োগ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের পাশাপাশি হাইকোর্ট নিয়োগ প্রশ্নে রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, "আগামী ২৯ জানুয়ারি এই সাড়ে ৩ হাজার জনের চাকরিতে যোগদানের কথা ছিল। তবে হাইকোর্টের স্থগিত আদেশের ফলে তারা চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন না।"
এর আগে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগ এনে ১৮ জন নিয়োগ বঞ্চিত পরীক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে অভিযোগ করা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি এবং "আবেদ আলী চক্র" প্রশ্নপত্র বিক্রি করেছে।
গত ২৬ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) এবং ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টর (দশম গ্রেড) পদে নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৪টি ক্যাটাগরিতে সাড়ে ৩ হাজার জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এ ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
হাইকোর্টের আদেশের ফলে উক্ত সাড়ে ৩ হাজার জনের চাকরিতে যোগদান আপাতত স্থগিত থাকবে। আদালতের চূড়ান্ত রায়ের আগে এই বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।