
কিশোরগঞ্জ সদর সংবাদদাতা:
কিশোরগঞ্জ জেলা ও উপজেলাসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে হঠাৎ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে চড়া দামে, যা নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বাড়তি ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জের থানা এলাকার হাট-বাজারে বড় দোকানগুলোতেও বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, তেলের সরবরাহ বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে।
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল না থাকার জন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন ক্রেতারা। আলমগীর হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, “বাজারে বোতলজাত তেল না পেয়ে বাধ্য হয়ে খোলা তেল কিনতে হচ্ছে। তবে বাজার ঠিকমতো মনিটরিং করা হলে এই সমস্যার সৃষ্টি হতো না।”
বাজার থেকে বোতলজাত তেল উধাও হওয়ার পর খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৮৫ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত তেলের সরকার নির্ধারিত মূল্য যেখানে ১৬৭ টাকা, সেখানে খোলা তেলের এই উচ্চমূল্য ভোক্তাদের জন্য আর্থিক চাপ তৈরি করেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত সাত দিন ধরে বোতলজাত তেলের সরবরাহ নেই। এক দোকানের কর্মচারী জানান, “বাধ্য হয়ে খোলা তেল বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের কাছেও সরবরাহ নেই, তাই বোতলজাত তেল বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।”
জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা হাসান সারোয়ার জানান, খোলা সয়াবিন আর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় সমান। সেই কারণে কোম্পানিগুলি বোতলজাত তেলের দাম বাড়াতে চায়। কিন্তু সরকার সেটা হতে দিতে চায় না। তবে সরকার তেলের ওপর ভ্যাট কমিয়েছে। হয়ত অচিরেই সংকট কেটে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
সরবরাহ ব্যবস্থার এই সংকট নিরসনে এবং বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের মনিটরিং আরও জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভোক্তারা।