Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / রংপুর / কুড়িগ্রামে নদ-নদীর ভাঙ্গনে স্কুল ও মসজিদসহ শতশত বিঘা জমি নদীগর্ভ বিলীন - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর ভাঙ্গনে স্কুল ও মসজিদসহ শতশত বিঘা জমি নদীগর্ভ বিলীন

May 30, 2023 06:38:01 PM   জেলা প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর ভাঙ্গনে স্কুল ও মসজিদসহ শতশত বিঘা জমি নদীগর্ভ বিলীন

শাহ আলম:
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন আতংকে দিন পার করছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে নদী ভাঙ্গনে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গনরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। তার পরেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না একটি সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের। যেকোনো মুহূর্তে সেটিও নদীতে বিলিন হতে পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১ মাসে জেলার উলিপুর, চিলমারী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে শত শত বিঘা আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ভগবতীপুরে তীব্র ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরভগবতীপুরে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে পড়ে আছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। সড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে একটি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরভগবতীপুর এলাকার মোঃ নুর ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহে আমার দুই বিঘা আবাদি জমি নদীতে চলে গেছে। এখনো বন্যা আসে নাই এতেই যে ভাঙ্গনের অবস্থা। পরে যে কি হবে বলা যাচ্ছে না।

চরভগবতীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে অনেক জমি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকটি ভাঙনের মুখে। গতকাল ক্লিনিকটির স্থাপনা নিলামে তোলা হয়েছিল। সরকারি শিডিউল অনুযায়ী মুল্য না উঠায় বিক্রি করা সম্ভব হয় নাই। আজকে যে অবস্থা দেখতছি যেকোন মহুর্তে ক্লিনিকটি নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।

আমরা ক্লিনিকের ভিতরে সব আসবাব পত্র ও ওষুধ অন্য জায়গায় নিয়েছি। অস্থায়ী ভাবে সেখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল গফুর বলেন, গত দুই সপ্তাহে আমার ইউনিয়নের চরভগবতীপুর গ্রামের প্রায় ৩৬টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এদিকে একটি  মাধ্যমিক স্কুল, একটি মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এখানে একটি মাত্র কমিউনিটি

ক্লিনিক সেটাও নদীর মুখে। যেকোনো সময় সেটিও নদীতে বিলিন হতে পারে। একটি আশ্রয়ন প্রকল্প আছে সেটিও এখান থেকে সড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা বসতভিটা হারানো পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করছি তা উপজেলা প্রশাসন বরাবর জমা দেওয়া হবে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন,অনেক চেষ্টা করেও ক্লিনিকটি রক্ষা করা গেলো না। আবার কবে ওই চরে ক্লিনিকের স্থাপনা হবে জানি না। তবে অস্থায়ী ভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। তবে মাত্রা কম। চরাঞ্চলে কিছু ভাঙ্গন রয়েছে। এদিকে যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ভগবতীপুরের ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি আমরা।