
শিমুল মিয়া:
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ইরি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, উন্নত জাতের ব্যবহার এবং কৃষি বিভাগের নিয়মিত তদারকির ফলে এবার কৃষকেরা মাঠে পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের মৌসুমে ২১,২৯৬ হেক্টর জমিতে ইরি ধানের আবাদ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১,৪৭,৯২০ মেট্রিক টন। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন গত বছরের তুলনায় বেশি হয়েছে, যা কৃষিক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমানে সদরের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার ব্যস্ত সময় চলছে। কৃষকেরা মাঠে ধান কেটে মাড়াই করছেন। কেউ নিজের খোরাকি মজুত করছেন, আবার কেউ বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ধান সংগ্রহ করছেন। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, এবার সময়মতো বৃষ্টি হয়েছে, উন্নত জাতের বীজ পাওয়া গেছে এবং কৃষি অফিসের পরামর্শ তারা মাঠে কাজে লাগিয়েছেন বলেই ভালো ফলন হয়েছে।
একজন কৃষক বলেন, “এই বছর ফলন খুবই ভালো হয়েছে। যদি সরকার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে, তাহলে আমরা লাভবান হব ইনশাআল্লাহ।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহাদৎ হোসেন ‘দৈনিক দেশের পত্র’কে বলেন, “আমরা মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত তদারকি করেছি। উন্নত জাত বাছাই, সার ব্যবস্থাপনা এবং রোগবালাই দমন সংক্রান্ত বিষয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি। কৃষকদের পরিশ্রম, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যৌথ প্রচেষ্টায় এবার বাম্পার ফলন এসেছে।”
তিনি আরও জানান, সরকার নির্ধারিত দামে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আগ্রহী কৃষকরা নির্ধারিত মূল্যে ও নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করতে পারবেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কৃষক সমাজ মনে করছে, এই সাফল্য তাদের অর্থনৈতিক স্বস্তি এনে দেবে এবং আগামীতেও কৃষি বিভাগের সহায়তায় আরও উন্নত ফলন অর্জনের পথ খুলে দেবে।