
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, কোনাবাড়ী ও টঙ্গী, শহরের এই ব্যস্ততম এলাকাগুলো যাত্রী ও পথচারীদের জন্য এক দুঃসহ বিপদের নাম। ময়মনসিংহ ও উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানগুলো প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচলের কেন্দ্রবিন্দু হলেও সড়ক ও ফুটপাত এখন কার্যত ভাসমান দোকানিদের দখলে।
চান্দনা চৌরাস্তা, টঙ্গী এবং কোনাবাড়ী এলাকার প্রধান সড়ক ও ফুটপাতজুড়ে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকানের কারণে যাত্রী ও পথচারীদের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। যানজট নিরসন ও পথচারীদের চলাচলে স্বস্তি ফেরাতে এলাকাবাসী এসব ভাসমান দোকান দ্রুত উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন।
নাওজোড় ও ভোগড়া বাইপাস এলাকায়ও একই অবস্থা। নাওজোড় ফ্লাইওভারের নিচে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টি ভ্রাম্যমাণ দোকান বসে, যা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
জনশ্রুতি অনুযায়ী, এসব ভাসমান দোকানের পেছনে একটি অসাধু চক্র কাজ করছে, যারা প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আগে প্রকাশ্যে টাকা আদায় করা হলেও, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর এখন তা গোপনে পরিচালিত হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ফুটপাত কার্যত ভ্রাম্যমাণ মার্কেটে পরিণত হয়েছে। ভ্যান, ফুটপাতে বসানো পণ্য সামগ্রী ও রাস্তার একপাশ বন্ধ করে ব্যবসা পরিচালনার কারণে জনজট ও যানজট প্রতিদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করতে তাদের ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগছে, যা ভাসমান দোকান উচ্ছেদের মাধ্যমে দ্রুত সমাধান সম্ভব।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চান্দনা চৌরাস্তা ও সংলগ্ন সড়কে ভাসমান দোকানগুলো পথচারীদের প্রধান বাঁধা। তারা এসব দোকান উচ্ছেদের মাধ্যমে ফুটপাত ও সড়কে স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
গাজীপুরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করে যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে। সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কাছে দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগের প্রত্যাশা করছেন ভুক্তভোগীরা।