Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ঢাকা / গাজীপুরে বাসে গণধর্ষণ: আদালতে পাঁচ আসামির স্বীকারোক্তি - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

গাজীপুরে বাসে গণধর্ষণ: আদালতে পাঁচ আসামির স্বীকারোক্তি

August 09, 2022 05:14:07 AM  
গাজীপুরে বাসে গণধর্ষণ: আদালতে পাঁচ আসামির স্বীকারোক্তি


গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুরে চলন্ত স্বামীকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে গাজীপুরের তিন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামীদের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করা হয়। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এ ভিকটিমের জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়।

রোববার বিকেলে এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ্ প্রেস ব্রিফিং করেছেন। পুলিশ সুপার বলেন, স্বামীকে নিয়ে নওগাঁ এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ময়মনসিংহ জেলা ভালুকা উপজেলার ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন এক নারী। পথে গাজীপুরের ভোগড়া-বাইপাস এলাকায় নেমে আবার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ‘তাকওয়া পরিবহন’ নামে একটি বাসে ওঠেন। বাসটিতে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে আরও তিনজন যাত্রীবেশে পরিবহন শ্রমিক ওঠেন। বিভিন্ন স্থানে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে শ্রীপুরের মাওনা ফ্লাইওভারে পৌঁছালে ধর্ষণকারীরা তাঁর স্বামীকে মারধর করে জোর করে বাস থেকে ফেলে গাড়িটি ঘুরিয়ে আবার গাজীপুরের দিকে আনে। ওই পাঁচজন নারীর হাত-মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাসটি ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় আসলে ওই নারীকে নির্জন স্থানে নামিয়ে দেওয়া হয়।

এস এম শফিউল্লাহ্ আরো বলেন, শনিবার ভোরে ওই নারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় মহানগর পুলিশের একটি টহল দল তার কাছে যায়। পুলিশকে পুরো ঘটনা জানালে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (অপরাধ) ছানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে বাসটি জব্দ করে। দুজনকে গ্রেফতারের পর তাদের দেয়া মতে অপর তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতরা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার দরিপাড়া গ্রামের আলী আকবরের ছেলে রাকিব মোল্লা (২৩), নেত্রকোনা জেলা সদর উপজেলার গুপিরঝুপা গ্রামের মৃত সানোয়ার হোসেনের ছেলে সুমন খান (২০), ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠালকাচারি গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব (২৩), একই জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার বিলডোলা গ্রামের তুলা মিয়ার ছেলে মো. শাহীন মিয়া (১৯) এবং খুলনার রূপসা উপজেলার খান মোহাম্মদপুর এলাকার মৃত নূর আলমের ছেলে মো. সুমন হাসান (২২)।  সজীব ও শাহিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক এখলাস উদ্দিন, রাকিব ও সুমনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক ইসরাত জেনিফার জেরিন এবং আসামি সুমন খানের বক্তব্য জবানবন্দি রেকর্ড করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক জুবাইদা নাসরিন বর্ণা। এছাড়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক রিফাত আরা সুলতানা ভুক্তভোগী নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এদিকে দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে জানিয়েছেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. এ এন এম আল মামুন ও ডা. সানজিদা হক।

ডা. এএনএম আল মামুন জানান, প্রাথমিকভাবে পরীক্ষায় ভুক্তভোগীর ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তারপরও ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভুক্তভোগীর ডিএনএ পরীক্ষা জন্য আলামত সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ওই নারীর কপালে একটি আঘাতের চিহ্ন থাকায় তার মাথার এক্স-রে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।