
নেছারাবাদে এক সময় ছাত্রদল কর্মীকে পেটানোর অভিযোগে আলোচিত ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা মো. রিয়াদুল ইসলাম এবার প্রকাশ্যে ছাত্রদলের সভায় অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার নেছারাবাদ উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের আয়োজনে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় রিয়াদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি ৮নং সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ কমিটি) স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক বলে জানা গেছে। ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মীর অভিযোগ, তিনি ছাত্রদলের পদপদবী পাওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে তদবির চালাচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া না পেয়ে সরাসরি কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
সমুদয়কাঠি ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা মো. সিয়াম শেখ অভিযোগ করেন, “রিয়াদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাইদুল হাওলাদারের ছেলে এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা। গত ৫ আগস্ট ফেসবুকে শেখ হাসিনার একটি ছবি পোস্ট করে, যেখানে আমি ‘হা হা’ রিয়েক্ট দিলে তিনি এবং তার লোকজন আমার ওপর সমুদয়কাঠি বাজারে লোহার রড দিয়ে হামলা চালায়। আমি, হাসান ও রিয়ান গুরুতর আহত হই।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিয়াদুল ইসলাম বলেন, “সেহাংগলের ছাত্রদল নেতা ইমরান খন্দকার আমাকে বলেছিল ও নিয়ে গিয়েছিল। সে আমাকে জোর করে নিয়ে গিয়েছিল। পরে আমি পোলাপান নিয়ে গিয়ে আবার চলে এসেছি। আমি একটা দল করি, অন্য দলের প্রোগ্রামে গেলে দোষ কী?”
এ বিষয়ে সমুদয়কাঠি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম বলেন, “রিয়াদুল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা। তাকে ওই সভায় একবার দেখা গেছে। সে কী উদ্দেশ্যে সেখানে গিয়েছিল—তা খতিয়ে দেখা উচিত। হামলার পরিকল্পনা বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না, সেটিও জানা প্রয়োজন।”
স্থানীয়রা বলছেন, রাজনীতিতে এমন অনুপ্রবেশকারীরা দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে এবং দায়িত্বশীল মহলের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।