
আশিকুর রহমান:
প্রতি রাতের মত জীবিকার তাগিদে গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হন নূর ইসলাম নামের এক অটোরিকশা চালক। পরে ছিনতাইকারীদের কবলে পরলে নূর ইসলামকে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাই করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। গত ৪ অক্টোবর (বুধবার) মধ্য রাতে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন যোগীতলাগামী রোডের নাটা অফিসের এক'শো গজ আগে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের শিকার নূর ইসলাম(৪৫) শেরপুর জেলার বাকারকান্দি গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। নূর ইসলাম পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।
এদিকে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার আট দিন পর গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানা পুলিশ ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত শরীফ ও রমজান আলীকে গ্রেফতার করে। সেই সাথে ভাঙ্গারী মালামাল ব্যবসায়ী দেলোয়ার নামের এক ব্যাক্তিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত দেলোয়ারের দোকান থেকে খুনের পর ছিনতাইকৃত অটোরিকশার অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন নলজানী এলাকার মোঃ আল-আমিন এর ছেলে মোঃ রমজান আলী(২২), একই থানাধীন চান্দনা গ্রামের মোঃ বাচন আলীর ছেলে মোঃ শরীফ(২৫) ও শেরপুরের বকশীগঞ্জ থানার জাকনিপুর ডাকীপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল হালিমের ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন দেলু(৪৫)।
শনিবার সকালে গাজীপুর মেটোপলিটন পুলিশ কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, জিএমপি'র ডিসি ক্রাইম আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান। তিনি জানান, অটোরিকশা ছিনতাইকালে, ছিনতাইকারীরের ধারালো ছুরির আঘাতে নূর ইসলামের মৃত্যু ঘটে। ছিনতাইকারীরা তার বুকে ও পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাতের পর মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়৷ এ ঘটনায় নিহত নূর ইসলামের ভাগিনা মোঃ শাহীন আলম বাসন থানায় অজ্ঞতানামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন। পরে সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, ছিনতাইকারীদের চিনে ফেলায় তাদের হাতে খুন হন অটোরিকশা চালক নূর ইসলাম। গ্রেফতারকৃত আসামী বিরুদ্ধে এর আগেও ছিনতাই মামলা রয়েছে। এরা নিয়মিত ছিনতাই কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।