
শরীয়তপুরের জাজিরায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ ৮ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৯-অক্টোবর) রাতে পদ্মানদীর বাবুরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, জাজিরা উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী রিয়াদ (২৮), চালক মো. সাগর (৩০), স্পিডবোট ড্রাইভার সেকেন্দার হোসাইন (২৯), তাদের সহযোগী হাবিব (২২), জিল্লুর রহমান (৪৫), মুশফিকুর রহমান (২৭), জামিল হোসেন (২৮) ও সেকান্দার হোসেন (৩৫)। এদের মধ্যে দুজনের গুরুতর বলে জানান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল শরীফ। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ঘটনা সম্পর্কে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল শরীফ দেশের পত্রকে জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা যাতে নদীতে মা ইলিশ ধরতে না নামে সেজন্য মঙ্গলবার রাতে জাজিরার সিডারচর এলাকায় একটি স্পিডবোট, বাবুর চরে দুটি স্পিডবোট ও চরাত্রায় একটি স্পিডবোটে মৎস্য বিভাগের লোকজন দায়িত্বে ছিল।
হটাৎ ১৮ থেকে ২০টি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় লোকজন এসে বাবুর চরের দুটি স্পিডবোটে হামলা চালায়। তখন দেশীয় অস্ত্র ও লগি-বৈঠা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ ৮ জনকে আহত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে জানতে পেরে নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেনসহ মৎস্য বিভাগের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, তাদের সাথে কোনো ধরনের পুলিশি প্রটোকল ছিলো না। প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (পিডি) এমদাদুল স্যারের নির্দেশনায় পুলিশের প্রটোকল ছাড়াই আমরা তারা রাতের বেলায় অভিযানে যাই।
পুলিশি প্রটোকল ছাড়া রাতের বেলায় নদীতে যাওয়া সম্পর্কে জানতে একাধিকবার প্রজেক্ট ডাইরেক্টর এমদাদুল এর মুঠোফোনে কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিন জানান, আমরা শুনেছি মৎস্য বিভাগের কয়েকজনকে জেলেরা মারধর করেছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ জমা দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নিবো।