
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের জাজিরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট গ্রহণের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজি ইদ্রিস ফরাজীর সমর্থকের হামলায় সাত সাংবাদিকসহ দশজন আহতের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে জাজিরা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান দৈনিক দেশের পত্রকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২১ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন চলাকালীন মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইদ্রিস ফরাজীর বাড়ির নিকটবর্তী সেনেরচর ইউনিয়নের ফরাজী দারুস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা বুথের পর্দা খোলা রেখে প্রকাশ্যে ভোট দিতে ভোটারদের চাপ প্রয়োগ করেন। এমন তথ্যে ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয় মোটরসাইকেলের সমর্থকেরা। এতে সাত সাংবাদিকসহ অন্তত দশজন আহত হয়।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত সাংবাদিক পলাশ খান বাদী হয়ে জাজিরা থানায় লিখিত এজাহার জমা দিলে পরবর্তীতে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে জাজিরা থানা পুলিশ।
মামলার বাদী সাংবাদিক পলাশ খান দৈনিক দেশেরপত্রকে বলেন, ভোট গ্রহণের তথ্য সংগ্রহে যাওয়ায় একদল সন্ত্রাসী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। আমাদের বেধড়ক মারধর করে ও আমাদের সাথে থাকা মোবাইল ও ক্যামেরাসহ সকল সরঞ্জাম নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করেছি। আশা করছি, পুলিশ হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুর রহমান জানান, নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র ভিডিও ধারণ করতে গেলে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।