সাজ্জাদুল ইসলাম, নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম পোরকরা। গত বছর ভয়াবহ বন্যার পর থেকে এই গ্রামের কাঁচা-পাকা সড়কটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। সেই সড়ক উন্নয়নে কাজ করছে চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্প।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে ম্যাগাডম ও বালি দিয়ে খানাখন্দ ভরাট করা হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে সড়কের রোলিং এর কাজ শুরু হয়।
জানা যায়, বন্যার পর পোরকরা গ্রাম থেকে চাষীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় পর্যন্ত পিচঢালা সড়কটির আধা কিলোমিটার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৃষ্টি মৌসুমে সড়কের বড়-বড় গর্তগুলো রূপ নেয় মৃত্যু ফাঁদে।
স্থানীয়রা জানান, এই সড়ক দিয়ে পোরকরা, সাহারপাড় ও কাবিলপুর গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সড়কের সাথেই রয়েছে চাষিরহাট নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে চলাচলে যানবাহনের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও পথচারীরা।
নোয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসের তথ্য বলছে, গত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বন্যা পরবর্তী সময়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য জেলায় ২৫০ হাজার মেট্রিকটন চাল ও গম বরাদ্দ দেওয়া হয় কাবিখা প্রকল্পে। এছাড়া টিআর-কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ২৫ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে সেই বরাদ্দের উন্নয়ন পৌঁছায়নি জেলার সীমান্তবর্তী এই এলাকায়।
তবে জনদুর্ভোগ লাঘবে সম্প্রতি এই সড়কটি সংস্কারের কাজ করছে চাষিরহাট উন্নয়ন প্রকল্প। এতে স্বস্তি নেমে এসেছে পথচারীসহ যানবাহনের চালকদের মনে।
অনেক তাদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে বলেন, রাস্তা বড়-ছোট খানা-খন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টিতেই তা ডেবার আকার ধারণ করে। সেসময় নিশ্চিত দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে এই সড়কে চলাচল করতে হয়।
কয়েকজন সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক বলেন, সড়কের এই দুরবস্থার কারণে তাদের যানবাহনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায়ই গর্তে পড়ে যাত্রীসহ উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছ।
বর্তমানে সড়কটি সংস্কার হওয়ায় তারা চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের সদস্যদের সাধুবাদ জানান। জনস্বার্থে এমন কর্মকাণ্ডের জন্য যাত্রী ও চালকদের প্রশংসা কুঁড়াচ্ছেন চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবীরা।
চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন জানান, সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে চাষীরহাট বাজার থেকে মধ্যপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের কাজ করছেন তারা। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সড়কটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ আক্টোবর) রাতে ম্যাগাডন ও বালি দিয়ে খানাখন্দ ভরাট করা হয়েছে। সকাল থেকে সড়কের রোলিং এর কাজ শুরু হয়েছে। জনস্বার্থে বিভিন্ন সময় তাদের এমন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। তাদের এমন কর্মকাণ্ড সবসময়ই চলমান থাকবে -যুক্ত করেন মহি উদ্দিন।