
শরীয়তপুর (জাজিরা) প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবু ছাইমের বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন, নাম ও বয়স সংশোধনী সনদ প্রদানে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে ‘সচিবের ফি’ নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, দেশে শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধনের কোনো ফি নেওয়া হয় না। তবে শিশুর ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের উপরে সব বয়সীদের ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করেছে সরকার। কিন্তু এই নিয়মকে অগ্রাহ্য করে ইউপি সচিব আবু ছাইম নিজের জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করেছেন।
সেবাগ্রহীতা অনেকেই অভিযোগ করেন, সেনেরচর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের দিয়ে সেবাপ্রার্থীদের থেকে এই অতিরিক্ত ‘সচিবের ফি’ আদায় করা হয়। প্রতিটি সনদপত্র থেকেই ‘সচিবের ফি’ নামে অতিরিক্ত এই টাকা তুলছেন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা চুমকি।
সরজমিনে গেলে দেখা যায়, সেবা নিতে আসা জিহাদ কাজী নামের একজনের থেকে সরকারি ফি ছাড়াও "সচিবের ফি" বাবদ ৫০ টাকা দাবি করছেন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা চুমকি। তার দাবি, সরকারি ফি ছাড়াও সচিবের জন্য আলাদা ফি দিতে হবে। এজন্য ৫০ টাকা অতিরিক্ত দাবি করেন তিনি।
অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে ইউপি সচিব আবু ছাইম বলেন, আপনি টাকা কম দিয়ে যান। আমি বলে দিচ্ছি। তবে সরাসরি ধরা পরার পরেও অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে সেনেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল জমাদ্দার মুঠোফোনে জানান, অধিকাংশ ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা দুইজন হলেও তাদের পরিষদে তিনজন আছেন। তাদের সরকারি বেতন দেওয়া হয় না, তাই তারা কাজের পারিশ্রমিক নেন। তবে সচিবের জন্য আলাদাভাবে কোনো টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই বলে তিনি জানান।