
সামাউল ইসলাম:
চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর এলাকায় ড্রাগন চাষে সফলতা অর্জন করেছেন অনেক কৃষক। বিদেশি এ রঙিন ফলটি বর্তমানে জীবননগরের প্রায় সব গ্রামেই চাষ করা হচ্ছে।
জানা যায়, এই এলকায় ফলটি প্রতি কেজি তিনশত থেকে চারশত টাকায় বিক্রি করা হয়। আবার কম মানের গুলো দেড়শত থেকে দুইশত টাকায় বিক্রি করা হয়। বর্তমানে এই ফল দেশ-বিদেশের বহু জায়গায় রফতানি করছেন জীবননগরের চাষিরা। ফলে আশানুরুপ সফলতা পাচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষি কর্মকর্তাদের ভাষ্যানুয়ায়ী, দেশে ড্রাগন ফলের চাষ এখন আধুনিক কৃষির আশীর্বাদ হিসেবেই ধরা হচ্ছে। দেশের মাটিতে স্ট্রবেরি, মাল্টা, কমলা ও রাম্বুটানের মতই স্বাদ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ফল চাষ হচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলে। বলা যায় এগুলোর অনেক আগেই দেশের মাটিতে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয়। আশানুরূপ সফলতা পাওয়া দ্রুতই ড্রাগন ফলের প্রচার ও প্রসার ঘটে।
জানা যায়, মানুষের দেহে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে এই ফল খেলে দেহের রক্ত শূন্যতা পূরণ হয়। এই ফল একবার ধরলে প্রায় ছয় মাস ধরে বিক্রয় করা যায়। বর্তমানে ড্রাগন ফলের মৌসুম চলছে বাজারে প্রচুর পরিমান ড্রাগন আমদানি হচ্ছে যা অর্থনৈতিক দিকটা সমৃদ্ধ করতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করছে। তাই ড্রাগন ফলের চাষ আমাদের দেশ ও দশের জন্য অবশ্যই সুফলদায়ক।