Date: May 02, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ময়মনসিংহ / তথ্য না পেয়ে জামালপুর ডিসির কাছে সাংবাদিকের আপিল - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

তথ্য না পেয়ে জামালপুর ডিসির কাছে সাংবাদিকের আপিল

September 04, 2023 06:37:37 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
তথ্য না পেয়ে জামালপুর ডিসির কাছে সাংবাদিকের আপিল

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের কাছে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য না পেয়ে প্রতিকার চেয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহমেদ বরাবর আপীল আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দৈনিক জনবাণী ও ঢাকার ঢাক এবং দৈনিক আলোচিত জামালপুর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মাসুদুর রহমান এ আপীল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা প্রদান করেন।

আবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১১ জুন ও ১৯ জুন ২০১৮-১৯ অর্থ বছর থেকে চলমান অর্থ বছর পর্যন্ত বিশেষ ও সাধারণ ১ম, ২য়, ৩য় পর্যায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুকূলে বিশেষ এবং উপজেলা-ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে সাধারণ বরাদ্দের টিআর, কাবিটা, কাবিখা বরাদ্ধের তালিকা ও প্রকল্প কমিটি এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঢেউটিন, কম্বল বিতরণের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ মোতাবেক নির্ধারিত ফরমে তথ্য প্রাপ্তির ফরম ক এ ২টি আবেদন করেন মাসুদুর রহমান। এছাড়াও দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি ইব্রাহিম হোসেন লেবু, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি মতিউর রহমান, ড্যালি মুসলিম টাইমস এর স্টাফ রিপোর্টার শফিকুল ভুইয়াসহ সাংবাদিকরা প্রায় ১০টি আবেদন করেন।

আবেদন অনুযায়ী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার ও সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা (উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) হুমায়ুন কবির তাকে তথ্য না দিয়ে নানাভাবে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সাংবাদিকরা তথ্যের জন্য যোগাযোগ করলে তারা আজ না কাল সময় বলে অতিবাহিত করে আসছে। কেউ তথ্যের জন্য আবেদন করলে সে খবর পৌঁছে যায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক নেতার কানে এতে হয়রানির শিকার হন স্থানীয় সাংবাদিকরা।

তথ্য অধিকার আইনানুযায়ী নির্ধারিত ফরমে সাংবাদিকরা আবেদন করলেও বিভিন্ন প্রকল্প হরিলুটের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই কোনো তথ্য প্রদান করা হয় না। সাংবাদিকদের একাধিক আবেদন পড়লেও সরিষাবাড়ীতে তথ্য নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকরাই সরকারি তথ্য পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সেখানে সাধারণ মানুষের তথ্যপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চয়তার বাইরে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনেকেরই অসংখ্য আবেদন ফাইলবন্দি পড়ে আছে। তবে তথ্য অধিকার আইনের ৮ এর উপধারা (১) এর অধীনে উল্লেখ্য রয়েছে অনুরোধ প্রাপ্তির তারিখ থেকে অনধিক ২০ কার্য দিবসের মধ্যে অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অনুরোধকৃত তথ্যের সহিত একাধিক তথ্য প্রদান ইউনিট বা কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা থাকিলে অনধিক ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে উক্ত অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করিতে হইবে। (৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন কারণে তথ্য প্রদানে অপারগ হইলে অপারগতার কারণ উল্লেখ করিয়া আবেদন প্রাপ্তির ১০ (দশ) কার্য দিবসের মধ্যে তিনি উহা অনুরোধকারীকে অবহিত করিবেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক মাসুদুর রহমান জানান, মোখিক তো দুরের কথা আবেদন করেও তথ্য পায় না সাংবাদিকরা। বরং আবেদন দিলে চাল ও গম কালোবাজারিদের কাছে খবর দিয়ে দেয়। আবেদনের পর তথ্য ত দুরের কথা অবহিত করণের কোন চিঠি পর্যন্ত পায়নি। এ ছাড়াও এ তথ্য সংগ্রহে আমার কোন অর্থ খরচ হবে কিনা। বা কোন কোডে টাকা জমা প্রদান করব এমন কোন চিঠি/ নোটিশ আমাকে প্রদান করা হয়নি। তাই জানতে চেয়ে লিখিত আবেদন করেছিলাম। 

এদিকে প্রথম আলো পত্রিকার সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আবেদন করেছি তথ্য এখনো পায়নি।

কথা হলে দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি ইব্রাহিম হোসেন লেবু জানান, আবেদন করে তথ্য পাওয়া যায় না। দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি মতিউর রহমান জানান, কমপক্ষে ৩ বার আবেদন দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে একাধিকবার বিষয়টি জানিয়েছি। কোন তথ্য আজও পায়নি।

তবে শফিকুল ভুইয়া জানান, আবেদন আমি নিজেও করেছি। তথ্য দেয়না। এদিকে বক্তব্যের জন্য একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীরকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে জামালপুর জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ জানান, আবেদনের কপি হাতে আসলে প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।