
বাঁশখালী প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার দারুল উলুম তাহাফিজুল কুরআন মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টা করেছে হাফেজ নুর আলম নামে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষক। ৫ মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার আকবর শাহ ইমাম নগর জামে মসজিদ সংলগ্ন দারুল উলুম তাহাফিজুল কুরআন মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিষয়টি যাতে কাউকে না জানায় এ জন্য ছেলেটিকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়। কিন্তু ছেলেটি তার পিতাকে জানানোর কারণে উত্তেজিত হয়ে মাদ্রাসার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক নূর উদ্দিন, হাফেজ নুরআলম, সহকারী শিক্ষক মুরাদ মিয়া তাকে মারধর করে। সহকারী শিক্ষক মুরাদ মিয়াও ওই ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টা করেছিল বলেও অভিযোগ করে ওই ছাত্র। নির্যাতিত ছাত্রের নাম শফিকুল রহমান জীবন। সে আকবর শাহ থানার শাপলা আবাসিক এলাকার সোহাগ মোল্লার ছেলে।
জানা যায়, মাদ্রাসার ১৩ বছরের শিশুছাত্রকে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ নুর আলম বলাৎকারের করার চেষ্টা চালায়। এতে রাজি না হওয়ায় এবং পরিবারকে বিষয়টি জানানোর কারণে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে। এতে সহযোগিতা করে ওই মাদ্রাসার আরেক শিক্ষক মুরাদ ও মাদ্রাসার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক নূর উদ্দিন।
ওই ছাত্র জানায়, শিক্ষক হাফেজ নুর আলম ও সহকারী শিক্ষক মুরাদ প্রায় সময় খারাপ কাজ করার চেষ্টা করে। বিষয়টি তার বাবাকে জানানোর কারণে তাকে মুরাদ হুজুর, নূর হুজুর ও নুর আলম হুজুর মঙ্গলবার তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং মোবাইল দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
এদিকে ওই ছাত্রের পিতা সোহাগ মোল্লা খবর পেয়ে সাথে সাথে মাদ্রাসায় গিয়ে শফিকুল রহমান জীবনকে উদ্ধার করে। পরে তিনি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ নুর উদ্দীন ও মোরাদ হুজুরের বিরুদ্ধে আকবর শাহ থানায় অবগত করলে তৎখানিক আকবর শাহ থানার এসআই ওয়াহিদ ও এনাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান ওই ছাত্রের পিতা সোহাগ মোল্লা।