
দৌলতপুর প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া:
দৌলতপুর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ঘরে ঘরে বাড়ছে ঠান্ডা-জ্বর ও কাশির রোগী। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। আক্রান্তরা এলাকার ফার্মেসিগুলো থেকে ওষুধ কিনে সেবন করলেও অনেকেই তাতে সুস্থ হচ্ছে না। ফলে এসব রোগী ছুটছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে। আবার অনেকেই উন্নত চিকিৎসা না নিয়ে এলাকার ফার্মেসিগুলোর উপর নির্ভর হচ্ছেন।
দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৪৫ জন, বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯ জন। তবে এ উপজেলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা পার্শ্ববর্তী উপজেলার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলেন । মৃত ব্যাক্তিরা দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে রোগীদের। এছাড়াও প্রাইভেটভাবে চিকিৎসকদের চেম্বারেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে এসব রোগীদের। এতে সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা।
উপজেলার থানার মোড় এলাকায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাংমড়কা বাজার এলাকা থেকে আশা সামিম রেজা জানান, আমার বাবার ৭ দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর ঠান্ডা এলাকার দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাওয়াচ্ছি তাতে কোন কাজ হয়নি, তাই ভালো চিকিৎসার জন্য এখানে এসেছি। দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকালে চিকিৎসা নিতে আশা মজনু রহমান জানান, তার স্ত্রীর প্রায় ১ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জ্বর ঠান্ডা এলাকার ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ানোর পরে কোন ফল না পাওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেওয়া ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধ জানান, কয়েকদিন ধরে শরীর ব্যাথাসহ জ্বর আসে পরে এলাকার দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া হয় কিন্তু ভালো হয়নি হাসপাতালে এসে ডাক্তার দেখানোর পরে রক্ত পরিক্ষা করে ডেঙ্গু ধরাপড়েছে তাই হাসপাতালেয় চিকিৎসা নিচ্ছি।
এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে প্রতিনিয়ত বর্তমানে ৯ জন চিকিৎসা নিচ্ছে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত হয়েছে এছাড়া মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দু’জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে তাদের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলায়।