Date: April 30, 2024

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ঢাকা / সংবাদ প্রকাশের পর গা ঢাকা দিয়েছেন সেই মাদ্রাসা সুপার - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

সংবাদ প্রকাশের পর গা ঢাকা দিয়েছেন সেই মাদ্রাসা সুপার

April 14, 2024 10:09:13 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
সংবাদ প্রকাশের পর গা ঢাকা দিয়েছেন সেই মাদ্রাসা সুপার

শরীয়তপুর প্রতিনিধি (ক্রাইম):
গত শনিবার (১৩-এপ্রিল) সকালে 'নারীদের বাইরে বের হওয়া ঠেকাতে মাদ্রাসা সুপারের নেতৃত্বে লাঠি মিছিল' শিরোনামে দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর গা ঢাকা দিয়েছেন সেই মাদ্রাসা সুপার। ওই দিন দুপুরেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোবাইল বন্ধ করে বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেন মাদ্রাসা সুপার মাওলানা সেলিম। সরজমিন ঘুরে ও তার বাড়িতে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (ঈদের দিন) ও তার পরদিন ওই মাদ্রাসা সুপারের নেতৃত্বে স্থানীয়রা লাঠি মিছিল করে। যার নেতৃত্ব দেন ওই মাদ্রাসা সুপার মাওলানা সেলিম। তাদের দাবি ছিলো, সন্ধ্যার পর কোনো মহিলা বাইরে বের হতে পারবে না। ঈদের পরদিন বিষয়টি নজরে আসে দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকার। সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশের তৎপরতায় বন্ধ হয় লাঠি মিছিল ও বাড়ি ছেড়ে পালান ওই মাদ্রাসা সুপার।

সরজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাওলানা তাইজুল ইসলাম সেলিম এলাকায় 'সেলিম মাওলানা' নামে পরিচিত। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি জামাতের স্থানীয় কর্মকান্ডে প্রায়ই তিনি নেতৃত্ব দেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  তবে জেলা এবং উপজেলায় জামাতে সক্রিয় কমিটি না থাকায় উনি ঠিক কোন পদে আছেন বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আরিফুর রহমান, নড়িয়া সার্কেল এসপি মোঃ আহসান হাবিব, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ পুলিশের একাধিক টীম। ঘটনার পর ওই মাদ্রাসা সুপারের সঙ্গে কথা বলতে তাদের বাড়িতে পুলিশ গেলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি কেউ।

উল্লেখ্য, ঈদের দিন বিকেলে উপজেলার জয়নগরে ব্রিজে উঠে নারীদের টিকটকসহ বেহায়াপনা ঠেকাতে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা সেলিমের নেতৃত্বে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয়, কোনো মহিলা সন্ধ্যার পর বাইরে বের হতে পারবে না। পরে সন্ধ্যায় লাঠি হাতে শতাধিক লোকজন নিয়ে শোডাউন করেন ওই মাদ্রাসা সুপার। এসময় ব্রিজে উপস্থিত মহিলাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে প্রশাসনের বক্তব্য জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নড়িয়া সার্কেল আহসান হাবিব দৈনিক  দেশেরপত্রকে জানান,  ঘটনার পরে ঐ এলাকায় সার্বক্ষণিকভাবে পুলিশ রয়েছে এবং  জনগণ  সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করছে।