
দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সচেতনতা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আনন্দ বাজারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। ক্যাম্পেইনে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।
ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, “দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় শোল, গজার ও টাকি মাছের পোনা ক্রয়-বিক্রয় রোধ এবং নিষিদ্ধ পিরানহা, আফ্রিকান মাগুর, জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছের বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি, চায়না দুয়ারি বা রিং জাল, কারেন্ট জাল এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ নিধন বন্ধে সচেতনতা প্রয়োজন।” তিনি জানান, আজকের ক্যাম্পেইন থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটি উপজেলায় এ কার্যক্রম চালানো হবে।
এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ছায়েদুর রহমান, তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, তরীর সদস্য খালেদা মুন্নী, সোহেল রানা ভূঁইয়া, হৃদয় কামাল, রোটারিয়ান আশিকুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরিফ নুরুল আমিন, বাজার কমিটির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মোত্তাকিন।
তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, “বর্ষার শুরুতেই সারাদেশে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করা উচিত। এ সময়ে অসচেতনতার কারণে জেলেরা অবাধে শোল, গজার ও টাকি মাছের পোনা ধরে এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি করে। আমরা মূলত জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছি। সকলে সচেতন থাকলে নদীমাতৃক বাংলাদেশে দেশীয় মাছের অভাব থাকবে না।” তিনি আরও বলেন, “তরী বাংলাদেশ দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে।”
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, “ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করছি, যা আমাদের চলমান কাজের অংশ। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই। আমরা আশা করছি, এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে আমাদের নদ-নদী, খাল-বিলে দেশীয় মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।”
ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন মো. আবদুল হেকিম, মাসুদ রানা, মেহেদী মৃধা, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারী মো. হামিদুল হক, অফিস সহায়ক মো. হাকিম মিয়া প্রমুখ।
এ কার্যক্রমে তরী বাংলাদেশ সহায়তা করেছে।