
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় ধর্ষণের শিকার এক প্রবাসীর স্ত্রী (২২) সন্তান প্রসব করেছে। সন্তান প্রসবের পর থেকেই বিপাকে রয়েছে ধর্ষিতার পরিবার। ২০২৪ সালের ২২ মে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মো. আবর আলী (৩৯), গট্টি ইউনিয়নের ছোট বালিয়া এলাকার মৃত হাসেম শেখের পুত্র। গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ধর্ষিতার মা মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় বর্তমানে ধর্ষিতার পরিবার একঘরে অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪-৫ বছর আগে তরুণীর বিয়ে হয়, তবে বিয়ের এক বছর পর তার স্বামী সৌদি আরবে চলে যান। এরপর তার চাচা আবর আলী তরুণীকে ধর্ষণ করে। তরুণী চিৎকার করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কিছুদিন পরে তরুণীর শরীরে পরিবর্তন দেখা দিলে সে সব কিছু খুলে বলে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা হলেও আবর আলী কোন সালিশ বৈঠক মানেননি।
পরে পরিবারের পক্ষ থেকে সালথা থানায় মামলা করা হয়, তবে এখনও অভিযুক্তকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ধর্ষণের বিষয়টি যখন সারাদেশে আন্দোলন সৃষ্টি করছে, তখন ভুক্তভোগী নারী একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। অভিযুক্ত আবর আলী স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারকে একঘরে রেখেছে। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
ধর্ষিতার মা বলেন, “আমরা বিচারের দাবিতে অনেক জায়গায় ঘুরে কোনো বিচার পাইনি। আবর আলী বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি দিয়েছে এবং মামলা তুলে নিতে বলেছে। আমি সরকারের কাছে আমার মেয়ের বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চাই।”
অভিযুক্ত আবর আলী বলেন, “ডিএনএ পরীক্ষায় যদি বাচ্চা আমার হয়, তাহলে আমি বিচার মেনে নেব।”
সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, “এই বিষয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আসামি গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”