পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
গেল কয়েক বছরের মত এবারও পঞ্চগড় সীমান্তে বসছে না সীমান্তের কাটাতারের মিলন মেলা। এতে করে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না পঞ্চগড় সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অপেক্ষায় থাকা মানুষেরা। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সহ উভয় দেশের সরকারের নির্দেশনা না থাকায় গত ৬ বছরের মত ৭ম বারের মত বসছে না দুই বাংলার এই ভিন্ন আয়োজনের মিলন মেলা।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম। একই সাথে ভিন্ন এই আয়োজন বন্ধ থাকায় সীমান্তের কাছে সর্বসাধারণের প্রবেশে নিরুৎসাহিত করেছেন এই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, সাধারণত পহেলা ও দ্বিতীয় বৈশাখে পঞ্চগড়ের অমরখানা, শুকানি, মাগুরমারি সীমান্তসহ বিভিন্ন সীমান্তের কাঁটাতারের পাশে প্রায় ৫-৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দুই বাংলার এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হতো। এ সময় দু'দেশের হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে একে অন্যের সাথে কথা ও ভাববিনিময় করে আসতো। তবে এবারও সেই অন্যরকম আনন্দ চোখে পড়বে না।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও দু'দেশের নাগরিকরা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাতায়াতের সীমিত সুযোগ পেতেন। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় ভারত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার পর থেকে সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন তারা। অনেকেই দারিদ্র পরিবার হওয়ায় পাসপোর্ট করতে না পারায় উভয় দেশের নাগরিকদের অনুরোধে প্রায় এক যুগের মতো সময় ধরে বিজিবি ও বিএসএফের সম্মতিতে নববর্ষের দিন তারা কাঁটাতারের দুই ধারে এসে দেখা করার সুযোগ পেতেন। আর এতে করেই তৈরি হয় সীমান্তের কাটা তারের মিলন মেলা।
তবে বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২০১৯, ’২০ ও ’২১ সালে পঞ্চগড় সীমান্তে দুই বাংলার কাঁটাতারের মিলনমেলা বন্ধ হলে আর এই মেলা বসেনি।
পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম বলেন, এবারও বসছে না সীমান্তের দুই বাংলার মিলন মেলা। বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২০১৯, ’২০ ও ’২১ সালে পঞ্চগড় সীমান্তে দুই বাংলার কাঁটাতারের মিলনমেলা বন্ধ হয়ে গেলে যা এখনো বন্ধ রয়েছে। যেহেতু এই মেলা হচ্ছে না, তাই আমরা এই মেলার অপেক্ষায় থাকা মানুষদের সীমান্তে না আসার জন্য অনুরোধ করছি।